গ্রেনেড হামলার আশঙ্কা প্রধানমন্ত্রীর

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে আবারো গ্রেনেড হামলার আশঙ্কা করছেন। ওই ঘটনায় শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও নিহত হন তার দলের ২৪ জন নেতাকর্মী। আহত হন কয়েকশ।

রোববার সকালে সচিবালয়ের আইন মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে প্রধানমন্ত্রী তার এ আশঙ্কার কথা বলেন।

বিএনপি জোটের লাগাতার হরতাল-অবরোধের মধ্যে চলমান নাশকতার প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই এ আশঙ্কার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিদেশিদের সমর্থন না পেয়ে সহিংসতাকারীরা পেট্রোলবোমার পরিবর্তে গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা করছে।’

এ জন্য সবাইকে সজাগ থাকারও পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা।

গত ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া অবরোধে দেশের বিভিন্ন স্থানে পেট্রোলবোমা হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ জন নিহত হয়েছেন। এসব নাশকতার ঘটনায় কয়েকটি মামলায় হুকুমের আসামি হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপির অবশ্য অভিযোগ, নাশকতার এসব ঘটনার সঙ্গে সরকার জড়িত।

পেট্রোলবোমা হামলাকারী, হুকুমদাতা ও অর্থ যোগানদাতাদের দ্রুত বিচার করতে আইনমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাদের নির্দেশও দেন প্রধানমন্ত্রী। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা ও আইনের ফাঁক দিয়ে সন্ত্রাসীরা যাতে বেরিয়ে যেতে না পারে সেজন্য তাদের সতর্ক থাকার পরামর্শও দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষকে হত্যা করার সংস্কৃতি দেশে কখনোই ছিল না। দেশের মানুষ যাতে ন্যায় বিচার পায় সে জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে বিএনপি-জামায়াত জোটের হরতাল-অবরোধে নাশকতার চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ অবস্থা থেকে দেশের মানুষকে উদ্ধার করতেই হবে। যারা বোমা হামলায় জড়িত, যারা হুকুমদাতা, যারা নির্দেশ দিচ্ছে, যারা অর্থের যোগান দিচ্ছে, বোমাগুলো তৈরি করছে যারা, যারা সরবরাহ করছে প্রতিটা স্তরেই বিচার খুব কঠিনভাবে হওয়া দরকার। কারণ এ অবস্থা চলতে পারে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আমরা দেশের উন্নয়নের দিকে বেশি মনোযোগী হয়েছিলাম। আমরা প্রতিশোধমূলক মনোভাব নিয়ে তাকাইনি। এর কারণে হয়তো অনেকে রেহাই পেয়ে গেছেন। এ কারণে তারা ফের সহিংস হয়ে উঠেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা আমাদের নিতেই হবে।’



মন্তব্য চালু নেই