গোসাইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের ক্ষোপ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরে জঙ্গি অপরাধে গ্রেফতারকৃত আসামীকে কারাগারে দেখতে গেলেন গোসাইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ নেতাকর্মী, গোসাইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের ক্ষোপ প্রকাশ। ৮সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

গোসাইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, জেলার গোসাইরহাট উপজেলার বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইদিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন শিকারী জঙ্গিদের সাথে মিটিং করে টাকা বিতরণের সময় গোসাইরহাট থানা পুলিশ দেলোয়ারকে গ্রেফতার করেন। পরে থানা থেকে শরীয়তপুর কারাগারে তাকে প্রেরণ করেন।

৮সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে গোসাইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগ ও কোদালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম মিজানুর রহমান শরীয়তপুরে মিটিং আছে বলে গোসাইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান সিকদার, গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মো. শাহ জাহান ও সামান্তসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম বেপারী, নাগেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মহসিন সরদার, গোসাইরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজাফ্ফর সরদার ও নলমড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মাহফুজুর রহমানকে শরীয়তপুর নিয়ে যান। এদেরকে নিয়ে দেলোয়ার হোসেন শিকারীর সাথে কারাগারে দেখা করেন। এতে করে গোসাইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের ভিতর ক্ষোভ বিরাজ করছে।

গোসাইরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ুন সিকদার বলেন, আমি আওয়ামী লীগ করি তাই বিএনপি আমলে তাদের দাপটে গোসাইরহাট থাকতে পারিনি। ঢাকা যেয়ে থাকতাম। সেই সময়তে আমি একাধিক মামলার আসামীও ছিলাম। এস এম মিজানুর রহমান নেতৃত্বে গোসাইরহাট আওয়ামী লীগ যায় জঙ্গিকে দেখতে। তারা এমনটা করলে আমরা কার কাছে যাব।

আব্দুর রাজ্জাক স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. জাকির হাওলাদার ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, জঙ্গির সাথে আমাদের আওয়ামী লীগের কিশের সম্পর্ক । আমরা আওয়ামী লীগ জঙ্গি ও সন্ত্রাস বাংলাদেশ থেকে নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি বদ্ধ। কেন তারা জঙ্গির সাথে দেখা করতে গেলেন এর জবাব চাই।

গোসাইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান সিকদার বলেন, দেলোয়ার শিকারী দীর্ঘদিন যাবত চেয়ারম্যানি করছেন। তাই আমি চেয়ারম্যানদের সাথে মিলে দেখা করতে গিয়েছিলাম। এ নিয়ে বারাবারি করার কি দরকার।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে বলেন, এ ধরনের ঘটনায় সাধারণ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। আমরা বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবো। যেখানে প্রধানমন্ত্রী জঙ্গি নির্মূলে বদ্ধ পরিকর সেখানে তথাকথিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী জঙ্গিদের সহযোগীতা করলে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্দ্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই