গোসলের সময় এইসব ব্যবহার করছেন? জানেন এইগুলোর মধ্যে কি লুকিয়ে থাকে?

সারাদিনের ক্লান্তি কাটাতে পারে লম্বা একটা স্নান। আর ভাল একটা স্নানের জন্য সাবানের সঙ্গে মাস্ট লুফা। কিন্তু জানেন কি এই লুফার জালেই লুকিয়ে ভয়াবহ সব ব্যাক্টেরিয়া। হচ্ছে মারাত্মক সব চর্মরোগ। লুফা ব্যবহার করতে নিষেধ করছেন আটানব্বই শতাংশ চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ।

একটা সময় ছিল যখন বাঙালির স্নানের ঘরে গা ঘষতে ব্যবহার করা হল ধুঁধুলের খোসা। এখন সে জায়গাটা নিয়ে নিয়েছে রঙিন সিন্থেটিক লুফা। রিকির মাও তেমন লুফাই বাজার থেকে নিয়ে আসছেন ছেলের জন্য। কিন্তু জানেন কি এই নরম, রঙিন লুফাতেই রয়েছে সর্বনাষের বিষ!

আটানব্বই শতাংশ চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ লুফা ব্যবহার করতে নিষেধ করছেন। কিন্তু কিভাবে লুফা থেকে ত্বকের ক্ষতি হচ্ছে? কীভাবে সেখানে বাসা বাঁধছে ব্যাকটেরিয়া? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশিরভাগ সময়ই স্নানের পর ভিজে লুফা বাথরুমে রেখে দেওয়া হয়। আর বাথরুমের স্যাঁত্‍‍‍‍সেতে পরিবেশ লুফায় ব্যাক্টেরিয়ার বংশবৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে লুফার জালে নিজেদের সংখ্যা বাড়ায় ব্যাক্টেরিয়া। ইস্টও তৈরি হয় ভিজে লুফার মধ্যে। আর এই লুফা দিয়ে গা ঘষলেই ত্বকে সংক্রমণের শুরু। শেভিংয়ের পর এই লুফা ব্যবহার করলে ফলটা হয় আরও মারাত্মক।

তাহলে উপায়? চিকিত্সকরা বলছেন লুফা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে নজরে রাখতে হবে কয়েকটা বিষয়। প্রতিবার ব্যবহারের পর ভাল করে পরিষ্কার করতে হবে লুফা। নজরে রাখুন একটুও সাবান যাতে লেগে না থাকে। এরপর পুরোপুরি শুকিয়ে নিন লুফা। বাথরুমের ভেজা পরিবেশে লুফা ফেলে রাখবেন না। কয়েক মাস পরপরই বদলে ফেলুন আপনার গা ঘষার লুফা। লুফায় দুর্গন্ধ হলে বা রঙে পরিবর্তন হলে সঙ্গে সঙ্গে তা বদলে ফেলুন। মেনে চলুন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ। লুফা ব্যবহারে একটু সচেতন হোন। তাহলেই আপনার স্নান হবে আরামের , শান্তির।



মন্তব্য চালু নেই