গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত

গোলাপগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।নদীর তীরবর্তী এলাকা উপজেলার বুধবারীবাজার ইউপির চন্দরপুর বাজার, বুধবারীবাজার, বাণিগ্রাম বাজার, কালিজুরি জেলে পাড়া, কটলিপাড়া, চন্দরপুর, লামা চন্দর, বাদেপাশা ইউপির বাগলা, আমকোনা, মুল্লারকোনা, নোয়াই এবং ঢাকাদক্ষিণ ইউপির ইসলাম সুনাম পুর, দক্ষিণ সুনামপুর, আহমদ পুর সহ বেশ কিছু কুশিয়ারা তীরবর্তী এলাকা ও বাজার ইতিমধ্যে প্লাবিত হয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। বাড়ি-ঘরে আবার অনেকের বাড়ির আঙ্গিনায় পানি উঠায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।

গত ক’দিন ধরে টানা বর্ষণ ও উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে আসায় কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আসছিল।

উল্লেখিত গ্রামগুলোর সিংহ ভাগ লোকদের বাড়িঘরে ও আঙ্গিনায় পানি উঠায় বন্দি জীবন যাপন করছেন লোকজন। ঘর থেকে বের হতে হলেই কলাগাছের ভেলা, নৌকা বা বাশেঁর সাকোঁ ব্যবহার করতে হয়। গৃহিনীরা থালাবাসন ধৌত করার কাজ বারান্দায় বসেই সম্পন্ন করতে দেখা যাচ্ছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এ অঞ্চলের মানুষের দূর্বিসহ জীবন যাপন করতে হয়। নদীর তীরবর্তী গ্রাম ও বাড়িঘর হওয়ার কারনে এ দূর্ভোগের শিকার হন। অনেক পরিবারের লোকজন হাটুঁ পানিতে ভিজে ঘরে আসা যাওয়া করতে হচ্ছে। শুক্রবার দিন ব্যাপী ওই এলাকায় সরজমিনে গেলে এমন দৃশ্য গুলো চোখেঁ পড়ে ।

রহিম উদ্দিন নামের এক প্রবিণ মুরব্বি জানান, প্রতিদিনই কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ছে এবং নতুন নতুন বাড়িঘর প্লাবিত হচ্ছে। কুশিয়ারার তীরবর্তী মানুষের দূর্ভোগ ও কষ্টের শেষ নেই। স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা রয়েছে বিপাকে।

এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজ নজমুল বলেন, কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর তীরবর্তী গ্রাম গুলোর মধ্যে কিছু গ্রামে অল্প অল্প পানি প্রবেশের খবর পেয়েছি। এসব এলাকায় বন্যা হওয়ার মত কোন পানি এখনো প্রবেশ করেনি। যদি বন্যা হওয়ার মত পানি সে সব এলাকায় প্রবেশ করে তাহলে অবশ্যই সরজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
চন্দরপুরের বাজারের ব্যবসায়ী “কে কে” ষ্টোরের মালিক সাব্বির আহমদ বলেন, কুশিয়ারা ভাঙ্গন ও অকাল বন্যার কবল থেকে নদীর তীরবর্তী গ্রাম গুলোকে স্থায়ীভাবে রক্ষা করার জন্য সরকারের পক্ষে এগিয়ে আসার আহবান জানান।



মন্তব্য চালু নেই