গোমাংস খাওয়া সমর্থনের জের, মন্দিরে পুজো দেওয়ায় বাধা মমতাকে

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরী পৌঁছানোর আগেই ধুন্ধুমার কাণ্ড। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে জগন্নাথ মন্দিরে ঢুকতে না দেওয়ার জন্য আন্দোলন।

তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছিল সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে গিয়েও পুজো দেবেন। কিন্তু মমতার সেই আশায় জল ঢালার জন্য পথে নামল পুরীর শ্রী জগন্নাথ সেবায়েত সম্মিলনী।

তাদের দাবি, কোনও ভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুরীর মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। তাঁকে প্রবেশাধিকার দিলে সেটা জগন্নাথের লক্ষ লক্ষ ভক্তের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া হবে। কারণ হিসেবে সেবায়েত সম্মিলনী বলছে, মমতা গোমাংস খাওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন।

সংগঠনের সম্পাদক সোমনাথ কুন্তিয়ার বক্তব্য, ‘অহিন্দু এবং যারা গোমাংস খায়, তাদের মন্দিরে প্রবেশাধিকার নেই। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যদি এই ব্যাপারে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেন, তবেই আমরা ভেবে দেখব, তাঁকে মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হবে কি না।’

এর পরেই পুরীর পুলিশ সোমনাথ কুন্তিয়াকে আটক করেছে। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মমতার পুরী সফর নিয়ে তারা কোনও বিঘ্ন ঘটতে দেবে না।

তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, এর পিছনে বিজেপির মদত রয়েছে। তারাই মমতার পুরী যাত্রা নিয়ে রাজনীতি করছে। তবে ওড়িশা রাজ্য বিজেপি সভাপতি বসন্ত পণ্ডা দাবি করেছেন, তাঁরা কোনও রাজনীতি করছেন না। বসন্তর বক্তব্য, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবগান জগন্নাথের আশীর্বাদ নিতেই পারেন। পুরীর মন্দির সব হিন্দুর জন্যই উন্মুক্ত।’

তৃণমূল সূত্রে খবর, বুধবার বিকেল ৫টায় নির্ধারিত সূচি মেনেই মমতা পুরীর মন্দিরে যাবেন।-এবেলা



মন্তব্য চালু নেই