গোবিন্দগঞ্জের বাঙ্গালী নদীর চরে মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলন

গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এবার মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। মিষ্টি আলু চাষ করে চাষিদের ভাগ্যে পরিবর্তন আসায় কৃষকরা মিষ্টি আলু চাষে ঝুকে পরছে ।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ, শালমারা, কাটাবাড়ি, সাপমারা, রাখালরুূজ ও হরিরামপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে করতোয়া ও বাঙ্গালী নদী বয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে এসব নদী ভয়ানক রুূপ ধারন করে ।এবং শুষ্ক মৌসুমে এসব শুকিয়ে বড় বড় চরের সৃষ্টি হয়।

এই চরের বালু মাটিতে কোন আবাদ না হলেও গত ২ বছর পূর্বে চরের বালু মাটিতে কয়েকজন চাষি পরীক্ষা মূলক মিষ্টি আলুর চাষ করে ভাল ফলন পাওয়ায় গত বছর থেকে চাষিরা ব্যাপক হারে মিষ্টি আলুর চাষ শুর“ করেছে। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, গত বছর গোবিন্দগঞ্জের ১৭ টি ইউনিয়নে প্রায় ২শ ২০ একর জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে গত বছরের চাইতে আরও প্রায় ৫০ একর জমিতে বেশি মিষ্টি আলু চাষ হয়েছে। চরে বসবাসকারী অনেক চাষি জানায়, চরের বালু মাটিতে অন্য ফসলের আবাদ করলে পানির খরচ উঠে না। তবে মিষ্টি আলুর আবাদ করে আমরা লাভের টাকা ঘরে তুলতে পারছি।

তারা আরও জানায়, নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি দিন থেকে শুর“ করে ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত আমরা জমিতে মিষ্টি আলুর ডাল লাগিয়েছিলাম। বর্তমানে অনেকেই তাদের জমি থেকে মিষ্টি আলু তোলা শুর“ করেছে। ডাল কেনা সহ জমিতে সামান্য পরিমান সার দেওয়া ও দিনমজুরের খরচ সহ প্রতি বিঘা জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ করতে আমাদের খরচ হয় ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় আলু উৎপন্ন হয় ৬০ থেকে ৭০ মন। অথাৎ আমরা প্রতি বিঘা জমিতে উৎপন্ন মিষ্টি আলু ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার বিক্রি করতে পারি। তাই পড়ে থাকা চরের জমিতে গোবিন্দগঞ্জের শত শত আলু চাষি মিষ্টি আলু চাষ করে স্বাবলম্বি হ”েছ বলে জানা গেছে।



মন্তব্য চালু নেই