গৃহিনীদের হাতের সৌন্দর্য রক্ষায়…

গরমের আভা থাকলেও প্রকৃতিতে এসেছে শীতের আমেজ। শরীর ঘেমে ভিজে যায় ঠিকই কিন্তু ত্বকে দেখা দেয় রুক্ষ্মতা। সব কাজের কাজি হাতের ওপর পড়ে সবচেয়ে বেশি চাপ। রান্না, ঘর মোছা, কাপড় ধোয়ার কাজে বার বার পানিতে হাত ভেজাতে হয়। এতে ত্বকের স্বাভাবিক তৈলাক্ততা দূর হয়ে আরও বেশি রুক্ষ্ম হয়ে যায়। নখের চারপাশ থেকে চামড়া উঠতে থাকে, হাতের তালু-পিঠ খসখসে হয়ে যায়, যা আপনার চেহারার সঙ্গে একদম বেমানান। অথচ কাজের ফাঁকে একটু নজর দিলেই গৃহিনীদের হাতের সৌন্দর্য টিকিয়ে রাখা খুব কঠিন কিছু না। শুধু একটু ইচ্ছা ও চেষ্টা আপনার হাতের গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে দিতে পারে। প্রিয়জনকেও কোমল পরশে শিহরিত করতেও আগে দরকার সুন্দর মসৃণ দুটি হাত। তাই চলুন দেখে নেয়া যাক সেই নিয়ম গুলো।

– রান্নার পরে ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে। বিশেষ করে নখের চারপাশে যে কালো দাগ থাকে তা আলতো ঘষে উঠিয়ে নিতে হবে।

– প্রতিবার হাত ধোয়ার পরে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভোলা যাবে না। এতে হাতের রুক্ষতা দূর হবে।

– প্রতি সপ্তাহে একবার ঘরে বসে মেনিকিউর করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে একটি বড় গামলায় কুসুম গরম পানিতে অল্প শ্যাম্পু দিয়ে তাতে হাত দুটি ৫ থেকে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। নখের ফাঁক থেকে ছোট ব্রাশ দিয়ে ঘষে ময়লা বের করতে হবে। সব শেষে হাত মুছে গ্লিসারিন বা ক্রিম লাগিয়ে নিতে হবে। এটি নিয়মিত করলে ত্বক ও নখ দুটাই ভালো থাকে।

হাত– হাত খসখসে হলে প্রতিদিন রাতে ১৫ মিনিট উষ্ণ পানিতে হাত ভিজিয়ে নিন। এবার লেবু, চিনি একত্রে মিশিয়ে দুহাত দিয়ে ঘসতে হবে ১০ মিনিট ধরে। এভাবে কিছু দিন করলেই হাতের মসৃণতা ফিয়ে আসবে।

– গোসলের সময় স্ক্রব দিয়ে হাত ঘষে ধুয়ে নিন। এবার গ্লিসারিন, লেবুর রস, গোলাপ পানির মিশ্রণ লাগান প্রতিদিন। এতে হাতের উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা দুটোই বজায় থাকবে।

– প্রতি রাতে শোবার আগে অলিভ অয়েল বা লোশন মেখে নিতে পারেন। হাতের ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়ে ক্ষয়রোধ করবে।

– এছাড়া মাসে একবার ভালো কোনো পার্লারে গিয়ে হ্যান্ড ম্যাসেজ করাতে পারেন। এতে করে হাতে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে হাতের জড়তা কাটিয়ে কর্ম ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে।



মন্তব্য চালু নেই