গুলিস্তানে ফের ব্যবসায়ী-হকার সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

রাজধানীর গুলিস্তানে দ্বিতীয় দিনের মতো ফুটপাতের হকারদের সঙ্গে বিপণী বিতানের ব্যবসায়ীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী ওই সংঘর্ষে পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় দেড় শতাধিক হকার ও ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ।

শুক্রবার বিকেলে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।

সরেজমিন জানা গেছে, দুপুরে আহাদ পুলিশ বক্সের বিপরীতে ঢাকা ট্রেড সেন্টার মার্কেটের সামনের ফুটপাতে হকাররা দোকান বসাতে যায়। এ সময় মার্কেটের লোকজন বাধা দেন। এ খবর ফুটপাতের হকার ও মার্কেটের লোকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সংঘর্ষ। একে অপরকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। অনেককে লাঠি হাতে হামলা করতে দেখা যায়।

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এরইমধ্যে গুলিস্তান ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এক সময় মার্কেটের লোকজন গেট বন্ধ করে ছাদের ওপর থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এ সময় মতিঝিল জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আনোয়ার হোসেনসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন হকার আহত হন। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

পরে পুলিশ মার্কেটে তল্লাশি চালিয়ে ১৫ জনকে আটক করে বলে জানান পল্টন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মসিউর রহমান। তিনি আরো জানান, এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আহত পুলিশ সদস্যদের রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মার্কেট সমিতির সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন, পুলিশ রাস্তা থেকে হকার উচ্ছেদ করেছে। কিন্তু তারা মার্কেটের সামনে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করার চেষ্টা করছে। অনেকবার তাদের সরে যেতে বলা হয়। কিন্তু তারা কথা না শুনে আমাদের ওপর হামলা করেছে।

তবে হুমায়ুন কবিরের অভিযোগ অস্বীকার করে হকার নেতা বুলবুল বলেন, মার্কেটের জায়গা ছেড়ে তারা দোকান বসাতে যান। অথচ তারা (মার্কেটের ব্যবসায়ী) অহেতুক অভিযোগ তুলে হামলা করেছে। এতে হকারদের মালামালেরও অনেক ক্ষতি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন চলে যাওয়ার পরপরই ঢাকা ট্রেড সেন্টারের দোকান মালিক ও ফুটপাতে বসা হকারদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এ সময় বায়তুল মোকাররম থেকে গুলিস্তান, নবাবপুর এবং ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

Gulisthan-2 Gulisthan-3



মন্তব্য চালু নেই