গুলশানে জঙ্গি হামলা নিয়ে যা বললেন জাকির নায়েক

রাজধানী ঢাকার গুলশানে সন্ত্রাসী হামলাকে কেন্দ্র করে খবরের শিরোনাম হয়েছেন ইসলামী চিন্তাবিদ, বক্তা ও লেখক ডা. জাকির নায়েক। অভিযোগ উঠেছে, তার বক্তৃতায় হলি আর্টিজান বেকারি হামলার সন্ত্রাসীরা উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবার মুখ খুলেছেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে মুম্বাইভিত্তিক ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের এ প্রতিষ্ঠাতা জানান, ইসলামিক স্টেট বা আইএসআইএস ‘অনৈসলামিক’।ডা. জাকির নায়েক- ছবি সংগৃহীত

ঢাকায় হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ইসলামি স্টেট নাম ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা ইসলামকেই নিন্দা করছি। যাদের হাতে নির্দোষ বিদেশিরা নিহত হয়েছেন- তারা ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামী রাষ্ট্রের বিরোধী। ইসলামের শত্রুরাই আইএস নাম দিয়েছে।

ওমরাহ হজ পালনের উদ্দেশে বর্তমানে জাকির নায়েক সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থায় করছেন। ঢাকায় হামলার ব্যাপারে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস থেকে তার কাছে ফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ফেসবুকে তার ১৪ মিলিয়ন ফলোয়ার (এক কোটি ৪০ লাখ) আছে। এছাড়া উর্দু, বাংলা, চীনাসহ বিভিন্ন ভাষায় সম্প্রচারিত পিস টিভির মাধ্যমে তার ২০০ মিলিয়ন (২০ কোটি) দর্শক-শ্রোতা রয়েছে।

“ফেসবুক ফলোয়ারদের মধ্যে বাংলাদেশি বেশি। উর্ধ্বতন রাজনীতিবিদ, দেশপ্রেমিক, সাধারণ জনতা, শিক্ষার্থীসহ ৯০ শতাংশ বাংলাদেশি আমাকে চেনে বা জানে। এদের ৫০ শতাংশ আমার ফ্যান হতে পারে। আমি কি আহত হবো এটা জেনে যে, হামলাকারীরা আমাকে চিনতেন? না।”

এর অর্থ এই নয় যে, তিনি হামলাকারীদের অনুপ্রাণিত করেছেন, জানান জাকির নায়েক।

তার কারণে বহু মানুষ ইসলামের সংস্পর্শ এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব মানুষের কেউ কেউ পরে অন্য বক্তার কাছে গিয়েছেন। ওই বক্তারা আবার হাজার মানুষকে ইসলামের নামে পদভ্রষ্ট করেন।

এ ধরনের অনেক মানুষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রচণ্ড অনুরাগী হন। কিন্তু তার অর্থ কি এই- নবী তাদের মানুষ খুন করতে বলেছেন, প্রশ্ন রাখেন জাকির নায়েক।

তিনি বলেন, পবিত্র কোরানে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, যখন একজন মানুষ অন্যকে বা অন্য ধর্মের কাউকে হত্যা করে, তখন সে যেন সমগ্র মানবতা হত্যা করলো।

কেনো তাকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না এমন এক প্রশ্নের জবাবে ডা. নায়েক বলেন, এর পেছনে ধর্মান্ধ (Fanatic) হিন্দুদের ভুমিকা রয়েছে। এ বিষয়ে তার যুক্তি, হিন্দু, মুসলিমসহ নানা ধর্মের মানুষ তার বক্তৃতা শুনতে আসে। তখন নন-মুসলিমদের নানা প্রশ্নেরও উত্তর দেন তিনি। এতে ইসলাম সম্পর্কে তাদের ভুল ধারণা কেটে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে থাকতে পারে ধর্মান্ধ হিন্দুরা।

উপমহাদেশের মুসলমানদের কাছে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হলেও জাকির নায়েককে নিয়ে বিতর্কও কম নয়। তিনি সবচেয়ে বিতর্কের জন্ম দেন সাবেক তালিবান প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে সন্ত্রাসী বলতে অস্বীকার করায়।



মন্তব্য চালু নেই