গুরুত্ব বুঝে যত্ন নিন চোখের

আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে চোখ অন্যতম। বেশ জটিল গঠনের মধ্য দিয়ে একটি পরিপূর্ণ চোখকে আমরা দেখতে পাই। যেমন- কর্নিয়া আইরিস, রেটিনা, অ্যাকোয়াস হিউমার, ভিট্রিয়াস হিউমার, অপটিক নার্ভ ইত্যাদি। ঠিকঠাকভাবে দেখার জন্য কর্নিয়া থেকে অপটিক নার্ভ প্রত্যেকটিই একটি নির্দিষ্ট ছন্দে কাজ করে। ছোট্ট বলের মতো এই চোখ থাকে হাড়ের মজবুত কোটরের মধ্যে। সামনের দিকের খানিকটা বেরিয়ে আসা অংশ ঢাকা থাকে চোখের পাতা দিয়ে। চোখের সাদা যে অংশ দেখা যায় তাকে বলে স্কেলেরা। কিছু মাংস পেশী দ্বারা চোখ প্রয়োজন মতো ঘুরানো-ফেরানো যায়। আমাদের চলাফেরা এবং প্রতিটি কাজকে সুনিপুণ করতে চোখের দৃষ্টি ঠিক রাখা চাই।

আমরা রঙ্গিন জিনিস দেখতে পাই চোখের রেটিনার বিভিন্ন স্তরের রড এবং কোণ কোষের কারণে। রড এবং কোণ কোষের অন্যতম উপাদান হলো ভিটামিন এ। তাই ভিটামিন এ-র অভাব হলে রাতকানা রোগ হয়। সেজন্য চোখের যত্নে হতে হবে সচেতন। সেজন্য…

* কারো বারবার চোখ ধোয়ার অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিতে হবে। কারণ অপ্রয়োজনে বারবার চোখ ধুলে চোখের পানির প্রয়োজনীয় উপাদানও ধুয়ে যায়। ফলে চোখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

* ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার যেমন-টাটকা রঙ্গিন শাকসবজি, ফলমূল এবং ডিম দুধ খেতে হবে।

* চোখে কিছু পড়লে বারবার হাত না দিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

* চোখে কোন প্রকার আঘাত লাগলে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুতে হবে। এরপর দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

* বাচ্চা জন্মের পর চোখে কোন সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন। সচেতন বাবা-মায়েরা স্কুলে ভর্তির আগে বাচ্চার চোখ ডাক্তার দিয়ে পরীক্ষা করে নেন।

* চোখের সুস্থতা নিশ্চিত করতে বছরে একবার চোখ পরীক্ষা করানো উচিৎ।

* ডায়বেটিস থাকলে সুগার নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে অবশ্যই চোখ দেখানো উচিৎ। কেননা ডায়বেটিস চোখের সাংঘাতিক ক্ষতি করে।



মন্তব্য চালু নেই