গুজরাট দাঙ্গার ১৪ বছর পর ১১ জনের যাবজ্জীবন

গুজরাট দাঙ্গার ১৪ বছর পর ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে ভারতের একটি আদালত। খবর বিবিসির।

২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি গুজরাট দাঙ্গার সময় আহমেদাবাদের চামানপুরার গুলবার্গ সোসাইটি নামের একটি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় হামলা চালায় হিন্দুরা। ওই এলাকার বেশির ভাগ বাড়ি-ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়।

এহসান জাফরি নামে সাবেক এক কংগ্রেস সমস্যসহ ৩৫ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়। ওই ঘটনায় আরো ৩১ জন নিখোঁজ হয়। ধারণা করা হয় তারাও আগুনে পুড়ে মারা গেছে। গুজরাট দাঙ্গায় মোট ৬৯ জনের মৃত্যু হয়। ওই গণহত্যার ওপর ভিত্তি করেই দীর্ঘ ১৪ বছর পর ১১ জনের যাবজ্জীবনের রায় দিয়েছে আদালত।

মুসলিম বিরোধী দাঙ্গায় অংশ নেয়া এবং ৬৯ জনকে হত্যার করার অপরাধেই ওই ১১ জনের বিরুদ্ধে এই রায় দেয়া হয়েছে। এছাড়া আরো ১২ জনকে সাত বছর এবং আরো একজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

দাঙ্গার সময় ১ হাজারের বেশি মুসলমান নিহত হয়েছে। সে সময় একটি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয়া হলে ৬০ জন হিন্দু তীর্থযাত্রীও নিহত হয়।

আহমেদাবাদের একটি বিশেষ আদালত ওই দাঙ্গাকে সুশীল সমাজের সবচেয়ে অন্ধকারতম দিন বলে উল্লেখ করেছেন।

তবে বিশিষ্ট মুসলিম রাজনীতিবিদ এবং কংগ্রেস পার্টির সাবেক এমপি এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরি এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এহসান জাফরিকে যখন হত্যা করা হয় সে সময় আমিও সেখানে ছিলাম। আমরা সুবিচার পাই নি।

জাকিয়া জাফরি আরো বলেন, তার স্বামী দাঙ্গার সময় মোদির কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তার কাছে থেকে কোনো সহায়তা পান নি তারা।



মন্তব্য চালু নেই