গুগল কর্মীদের রাত কাটছে পার্কিং লটে! কিন্তু কেন?

এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম বড় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা গুগল। সারা বিশ্বজুড়ে গুগলের শাখা ছড়িয়ে রয়েছে। স্বভাবতই এদের কর্মী সংখ্যাও আকাশছোঁয়া। এঁদের মাইনে থেকে শুরু করে অন্যান্য সুবিধা, সমস্ত কিছুই অন্যান্য কোম্পানিগুলির থেকে অনেক বেশি। আর শেষ পর্যন্ত কিনা এই কোম্পানির কর্মচারীদেরই রাত কাটছে পার্কিং লটে!

কথাটা শুনতে অবাক লাগলেও এটাই নাকি বাস্তব। সান ফ্রান্সিসকোর গুগল কর্মীদের রাত কাটছে কখনও খোলা আকাশের নীচে রাস্তায়, কখনও বা কোম্পানির পার্কিং লটে। তবে একটু অন্যভাবে। আসলে গাড়ি, লড়ি, বা স্মার্ট কারে করে দিব্যি রাত কাটিয়ে দিচ্ছেন এই কর্মীরা। এই গাড়িতেই খাওয়া, গাড়িতেই বাথরুম, আর গাড়িতেই ঘুম।

কিন্তু এমনটা কেন? গুগল কি তাহলে লোকসানে চলছে? কর্মীদের মাইনে দিতে পারছে না! আসলে তেমনটাও নয়। যাঁরা কোম্পানির পার্কিং লটে থাকছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই আসলে যথেষ্ট অবস্থাপন্ন। ঠিকমতো মোটা মাইনে তো রয়েছেই, সঙ্গে রয়েছে সংস্থার যাবতীয় সুযোগ-সুবিধে। আসলে এভাবে দিন কাটানোর অর্থ হল, ভবিষ্যতের কথা ভেবে আরও অনেকটা টাকা বাঁচিয়ে নেওয়া।

যেমন গুগলের এক কর্মচারী ব্রেন্ডন জানিয়েছেন, বাসযোগ্য ট্রাক তৈরি করে গুগলের পার্কিং লটে থাকায়, বিনা খরচায় দিন কাটছে তাঁর। কেননা সব সুবিধাই তো দিচ্ছে সংস্থা। আর নিত্যপ্রয়োজনীয় সমস্ত কিছুই রয়েছে তাঁর ট্রাকে। ট্রাক কেনার টাকা বাদ দিলে এখন তাঁর মাইনের ৯০ শতাংশ টাকা বেঁচে যাচ্ছে।

এভাবে রাস্তায় বা পার্কিং লটে রাত কাটানো গুগলের কর্মচারীরা জানাচ্ছেন, সংস্থার কর্মী হওয়ার দরুন, তাঁদের খাওয়া, জিম, ফিটনেস ক্লাব সমস্ত কিছুই ফ্রিতেই দেয় সংস্থা। আর পার্কিং লটে থাকলে, প্রায় পুরো মাইনেটাই বেঁচে যায় কর্মীদের। এইভাবে কেউ কেউ তো একমাসে বাড়িও কিনে ফেলেছেন। কেউ কেউ বিলাসবহুল জীবনযাপনও করছেন জোরকদমে।

তবে বিষয়টি নিয়ে সংস্থা বর্তমানে প্রশ্রয় দিলেও, ভবিষ্যতে কি হবে তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তার বিষয় রয়েছে। কর্মীরা কোম্পানির কাছে থাকলে আদতে কোম্পানিরই সুবিধে। কিন্তু এইভাবে থাকার ফলে যে পুরসভা আইন লঙ্ঘন হচ্ছে তা মেনে নিয়েছে গুগলও।



মন্তব্য চালু নেই