গাড়ীতে বসলে ‘বমি’ আসে আপনার? তাহলে পড়ুন

গাড়িতে চেপে বসেছেন কোথাও যাবেন বলে। গাড়ি চলছে। কিছুদূর যেতেই শরীরটা কেমন কেমন লাগছে, মাথা ঘোরাচ্ছে, বমি বমি লাগছে এবং শেষে বমি হয়েও গেল। একবার নয়, একাধিকবার। বমি হয়ে যে স্বস্তি, তাও নয়। শরীরটা কেমন কেমন যেন লাগছে।

যেকোনো যান বাহনে চড়ার পর অনেকেরই এমন অবস্থা হয়। এ সমস্যার নাম মোশান সিকনেস। গাড়ি যখন চলা শুরু করে, আর আপনার দৃষ্টি গাড়ির ভেতরে, তখন আপনার অন্তঃকর্ণ বলে, আপনিও চলছেন গাড়ির গতিতে। কারণ গাড়ি চলার সঙ্গে সঙ্গে আপনার অন্তঃকর্ণেও তরল পদার্থের নড়াচড়া হয়। সে জন্য অন্তঃকর্ণ চলার সিগন্যাল পাঠায় আপনার মস্তিষ্কে। কিন্তু আপনার চোখ বলে না। আপনি স্থির আছেন; চলছে না কিছুই।

এমন অবস্থায় আপনার ব্রেন বলে, বেচারা চোখ অথবা অন্তঃকর্ণ দুটোর যে কোনো একটা ঘোরের মধ্যে আছে। ভাবে, কোনো বিষাক্ত জিনিস খাওয়ার কারণই এমন নেশার অবস্থা হয়েছে। সুতরাং বিষাক্ত জিনিস বের করিয়ে দিতে দেয় বমি করিয়ে। বমি হয়।

মোশান সিকনেস পুরোপুরি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তবে চলার পথেকিছু টিপস উপকারে আসবে।

– গাড়ির ভেতরে দৃষ্টি নিবদ্ধ না রেখে যতদূর সামনে দৃষ্টি যায়, তাকিয়ে থাকুন। আপনার অন্তঃকর্ণ ও চোখ তখন একই সিগন্যাল পাঠাবে মস্তিষ্কে ‘গাড়ি চলছে, আপনিও চলছেন।’

– জানালার কাছে সিট নিন। জানালা খুলে দিন। ঠাণ্ডা বাতাস পরশ বোলাবে শরীরে। ভালো লাগবে।

– হালকাভাবে দুই চোখ বন্ধ করে রাখুন। অথবা একটু তন্দ্রাচ্ছন্নভাব নিয়ে আসুন।

– গাড়ি চলছে। চলন্ত গাড়িতে বই, পত্রিকা পড়া থেকে বিরত থাকুন। বই, পত্রিকা পড়লে দৃষ্টি স্থির থাকবে গাড়ির ভেতরে। তাই বমির উদ্রেগ হতে পারে।

– গাড়িতে উঠলেই বমি হবে, এরকম চিন্তা মনে আনা যাবে না। অন্য চিন্তা করতে হবে। এ সময় গাড়ির বাহনের বাইরে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই