গাড়ির ভাগাড়ে সবুজের বসতি

সুইডেনের একটি বাগানে পরিত্যাক্ত অবস্থায় রাখা আছে হাজার খানেকের বেশি গাড়ি। এসব গাড়ি জঙ্গলে পরে থাকতে থাকতে বনেরই একটা অংশ হয়ে গেছে। ফলে এসব লক্কর-ঝক্কর মার্কা গাড়িতে বসত গেড়েছে বন্য প্রাণীরা। গাড়ির কলকব্জায় সবুজ শ্যাওলার আস্তরণ জমেছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেনো গাড়িগুলোও প্রকৃতিরই একটা অংশ।

সুইডেনের বনে পরিত্যাক্ত এসব গাড়ির বেশির ভাগই পুরাতণ ধাঁচের। এই গাড়ির ভাগাড় তৈরি করেছে সুইডিশ দুই সহোদর। তারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ক্ষতিগ্রস্থ গাড়িগুলো কিনে জঙ্গলে এনে রেখে দিয়েছে। এসব গাড়ির মধ্যে আছে ভিনটেজ ওপেলস, ফোর্ডস, ভলভোস, বুইকস, আউডিস, সাবস এবং সানবিম।

সুইডেনে গাড়ির ভাগাড়ের এই ছবিগুলো তুলেছেন আলোকচিত্রী ভেইন নরড্রাম। তিনি বলেন, গাড়িগুলো ইতোমধ্যে প্রকৃতির অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। গাড়িগুলোর পাশে দাঁড়ালে অদ্ভুত অনুভূতি তৈরি হয়। জায়গাটা খুবই নিরব। ওখানে যেনো অন্য এক পৃথিবী।
OLDএই গাড়ির এই ভাগাড়টি ১৯৫০ সালে তৈরি করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে আমেরিকান সেনাদের ফেলা যাওয়া গাড়িগুলোই এখানে স্থান পেয়েছে। গাড়িগুলো সংগ্রহ করে প্রথমে তারা এগুলোর ইঞ্জিন, হুইল, স্টিয়ারিং খুলে ফেলে বিক্রি করে দেয়। তারপর গাড়িগুলো বনের মধ্যে রেখে দেয়। গাড়িগুলো দেখা শোনার জন্য ঐ দুই ভাই ভাগাড়ের পাশে বাড়িও তৈরি করেছে।

আলোকচিত্রী নরড্রাম জানান, গাড়িগুলো এখন প্রকৃতিরই একটা অংশ হয়েছে। গাড়িগুলোর মধ্যেই উদ্ভিদ জন্মাচ্ছে। গাড়ির ছাদ, জানালার কাঁচ, উইন্ডশিল্ড ঠেকে আছে সবুজ শ্যাওলায়।
CAR-FRONTগাড়ির এই ভাগাড়টি সুইডেনের বাস্টনাস এলাকায় অবস্থিত। সুইডেনের পরিবেশবাদীরা বন থেকে গাড়ির ভাগাড় সরিয়ে ফেলার পক্ষে। তাদের দাবি এতে করে উদ্ভিদ ও বন্য প্রাণির স্বাভাবিক জীবন চক্র ব্যাহত হচ্ছে।
WHELE PLATE AND



মন্তব্য চালু নেই