গার্মেন্টস খুলে দেওয়ার উদ্যোগকে স্বাগত মন্ত্রিসভার

শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে আশুলিয়ায় বন্ধ করে দেওয়া পোশাক কারখানা (গার্মেন্টস) খুলে দেওয়ার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সচিবালয়ে সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ওই উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয় বলে সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আশুলিয়ায় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলো আবার খুলে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রিসভা এটাকে স্বাগত জানিয়েছে, এটা ভালো উদ্যোগ যে এগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ থাকলে আমাদের দেশের শত শত কোটি টাকা ক্ষতি। ক্ষতি রোধ করার জন্য… শ্রমিকদের সমস্যা, মালিকদেরও সমস্যা, এটাকে নিরসন করার জন্য সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে আজকে থেকেই অলমোস্ট সবগুলো প্রতিষ্ঠানই খুলে দেওয়া হয়েছে। এখানে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ শ্রমিক মোটামুটিভাবে যোগদান করেছে।’

শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে মন্ত্রিসভায় কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- একজন সাংবাদিক জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটার তো বিধান আছে। সময়ে সময়ে এটাকে আপডেট করার সুযোগ আছে। যে সিস্টেমটা আইনে দেওয়া আছে, সেটা প্রিম্যাচিউর, এখনো স্টেজটা (৫ বছর পরপর ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ) আসে নাই।’

সাভারের আশুলিয়ার পোশাক কারখানার হাজার হাজার শ্রমিক সর্বনিম্ন বেতন ১৫ হাজার টাকা করার দাবিতে কর্মবিরতিসহ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসছিল। গত ১১ ডিসেম্বর আশুলিয়ার বেরন এলাকায় উইন্ডি গ্রুপের কারখানায় শ্রমিকদের কর্মবিরতির মাধ্যমে এ কর্মসূচি শুরু হয়।

বিধিসম্মতভাবে কোনো ধরনের দাবি উপস্থাপন না করেই শ্রমিকরা আন্দোলন করছে জানিয়ে সরকার শ্রমিকদের কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য কয়েক দফা আহ্বান জানায়। কিন্তু শ্রমিকরা কাজে ফিরে না যায়নি।

এ পরিপ্রেক্ষিতে শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় (বন্ধের জন্য শ্রমিকরা কোনো আর্থিক সুবিধা পাবেন না) গত ২০ ডিসেম্বর ৫৫টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

শেষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর অনুরোধ রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিজিএমইএ মালিকদের বন্ধ কারখানাগুলো খুলে দেওয়ার অনুরোধ করে। সোমবার কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হয়।



মন্তব্য চালু নেই