গার্দিওলার অশ্রুসিক্ত বিদায়

২০১২ সালে বার্সেলোনার কোচের দায়িত্ব ছাড়ার পর এক বছর নিভৃতে ছিলেন পেপ গার্দিওলা। এরপর ২০১৩ সালে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কোচের দায়িত্ব নেন।

সেই থেকে জার্মানির বিভিন্ন সাংবাদিক তাকে আবেগহীন কোচ বলে উল্লেখ করেছেন। এও লিখেছেন বায়ার্নের জন্য তার কোনো ভালোবাসা নেই। হয়তো বিদায়বেলা দু’ফোটা অশ্রুও বিসর্জন দিবেন না তিনি। দিবেন কী করে? ক্লাব ও ক্লাবের খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার যে একটি শীতল দূরত্ব রয়েছে!

সমালোচকদের এমন কথায় অবশ্য কান দেননি সময়ের অন্যতম সফল কোচ গার্দিওলা। গেল বছরই তিনি জানিয়ে রাখেন ২০১৫-১৬ মৌসুম শেষে তিনি বায়ার্ন মিউনিখ ছেড়ে যাবেন। যোগ দেবেন ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিতে।

শনিবার রাতে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে শেষবারের মতো ডাগআউটে দাঁড়ান স্প্যানিশ এই কোচ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে জার্মান কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় বায়ার্ন।

নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্যভাবে শেষ হয়। এরপর অতিরিক্ত সময়েও কোনো গোল হয় না। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে রুদ্ধশ্বাস এক টাইব্রেকার উপহার দেয় উভয় দলের খেলোয়াড়রা।

শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। ম্যাচ শেষে আবেগে কাঁদতে দেখা যায় স্প্যানিশ কোচকে। খেলোয়াড়দের ধরেও তিনি অঝোরে কাঁদেন। এই কান্না সমালোচকদের জন্য দারুণ একটি জবাবও বটে।

অবশ্য গার্দিওলার বিদায়টাও হয়েছে শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে। যাবার আগে তিনি যে ক্লাবটিকে জার্মান কাপের শিরোপা দিয়ে গেছেন। বিদায় বেলায় গার্দিওলার বক্তব্য, ‘আমি সকলকে মিস করব। বায়ার্নে দারুণ তিনটি বছর কাটিয়েছে। সত্যিই দারুণ। এই ক্লাবে যে সকল লোকজনের সঙ্গে আমি কাজ করেছি তাদের সকলকে মিস করব। তবে আমি সবচেয়ে বেশি মিস করব আমার খেলোয়াড়দের। গেল তিনটি বছরের প্রত্যেকটি দিনের ২৪টি ঘন্টা তাদের ভেবেই আমি কাটিয়ে দিয়েছি।’

বার্য়ানের খেলোয়াড় ফিলিপ লাম বিদায়ী কোচের বিষয়ে বলেন, ‘তার মতো একজন কোচের সঙ্গে কাজ করাটা সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। অনেক কিছু জেনেছি।’

আরিয়েন রোবেন বলেন, ‘গার্দিওলার সঙ্গে কাজ করতে পারাটা আমার জন্য বিরাট সম্মানের ছিল।’



মন্তব্য চালু নেই