গাজায় নিহতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়েছে

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বর ইসরাইলের গণহত্যার শিকার ৮০০ জন ছাড়িয়েছে। শুক্রবারও চারজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীও রয়েছেন।

নিহত ফিলিস্তিনিদের বিরাট অংশ হচ্ছে নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষ। এছাড়া, অন্তত চারটি হাসপাতাল, ৩৪টি মসজিদ ও বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে।

ফিলিস্তিনের জরুরি সেবা কার্যক্রমের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা এএফপিকে জানান, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে দেউর-এল-বালাহ শহরে বিমান হামলায় একটি বাড়িতে ২৬ বছর বয়সী এক নারী ও ২৩ বছর বয়সী সন্তানসম্ভবা নারী নিহত হন। তবে তার শিশুটি রক্ষা পেয়েছে।

কুদরা জানান, বৃহস্পতিবার প্রায় ১০০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। এদিকে ইসরাইলে ছোড়া গোলার আঘাতে তিনজন নিহত হন। এ নিয়ে ইসরায়েলের ৩২ জন সেনা এবং তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে অভ্যন্তরীণভাবে উদ্বাস্তু হয়েছেন গাজার এক লাখ মানুষ। ইহুদিবাদী সামরিক বাহিনী প্রায় তিন হাজার বার বিমান হামলা চালিয়েছে। সোমবারও মধ্য গাজার একটি হাসপাতালের ওপর বোমা বর্ষণ করেছে ইসরাইল। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন এবং আহত হন ৪০ জন। গাজার অধিবাসীদের বিরাট অংশ ইসরাইলি আগ্রাসনের মুখে পানির কষ্টে পড়েছে। এছাড়া, ২৪ ঘণ্টায় মাত্র চার ঘণ্টা বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছেন তারা।

গাজায় যখন ইসরাইলি সেনারা বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে তখন যুদ্ধবিরতির জন্য শুরু হয়েছে জোর প্রচেষ্টা। গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক তত্পরতা চলছে। গত বুধবার মিসরের এক কর্মকর্তা বলেন, “ঈদ উপলক্ষে মানবিক কারণে সপ্তাহান্তে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে।”
মানবিক কারণে যুদ্ধবিরতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন হামাস নেতা খালেদ মিশাল। কিন্তু তিনি বলেছেন, “যুদ্ধবিরতির আগে গাজায় ইসরায়েলের অবরোধ তুলে নিতে হবে।”

এছাড়া, জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনও মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন। তিনি তার ভাষায় গাজার সহিংসতা বন্ধের কথা বলেছেন। যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনি ঐক্য সরকারের প্রধান মাহমুদ আব্বাস কাতার গেছেন হামাস নেতা খালেদ মাশআলের সঙ্গে আলোচনার জন্য।



মন্তব্য চালু নেই