মুনিরীয়া যুব তবলীগের ফাতেহা-এ-ইয়াজদাহুম শীর্ষক আলোচনা সভায় নবীপ্রেমিকের ঢল

গাউছিয়্যতের অনন্য সুধা কাগতিয়া দরবারে : অধ্যক্ষ ছৈয়্যদ মুনির উল্লাহ

কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মোর্শেদে আজম আওলাদে রাসূল হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ আহমদী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী বলেছেন, গাউছে পাক জিলানীর বাস্তব রূপ কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফে কাদেরীয়া তরিক্বতের মৌলিক বিষয়গুলো তথা গাউছিয়্যতের অনন্য সুধা বর্তমানে কাগতিয়া দরবারেই বিরাজমান।

মোরাকাবা, তাওয়াজ্জুহ, ফয়েজ কোরআন, নবীজির নূরে বাতেন দিয়ে মানুষের লতায়েফ জারী, নবীজির ভালবাসা নিয়ে দরূদ পাঠ, আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য এ দরবারের আধ্যাত্মিক শিক্ষা। মুসলিম মিল্লাতকে গাউছিয়্যত সম্পর্কে বাস্তব ধারণা দেয়ার ক্ষেত্রে কাগতিয়া দরবার শরীফ যে অবদান রেখেছে তা যুগ যুগ ধরে মুসলিম মিল্লাত স্মরণ রাখবে। মকামে গাউছিয়্যত সম্পর্কে এ দরবার দেশের উলামায়ে কেরামের যে উপকার করেছেন তা আজীবন সোনালী অক্ষরে লেখা থাকবে। সুন্নীয়তের ময়দানে এ অবদান যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধন করেছে। তাই তিনি মুসলিম মিল্লাতকে গাউছিয়্যতের অনন্য সুধা পান করার জন্য চট্টগ্রামের কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফে আসার আহবান জানান।

তিনি গতকাল শনিবার পবিত্র ফাতেহা-এ-ইয়াজদাহুম উদ্যাপন উপলক্ষে রাউজান কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের ৬১তম পবিত্র ফাতেহা-এ-ইয়াজদাহুম শীর্ষক আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমানের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখছিলেন।

মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ এর উদ্যোগে ফাতেহা-এ-ইয়াজদাহুম উদ্যাপন উপলক্ষে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে ছিল বাদে জোহর খতমে কোরআন, ফাতেহা-এ-ইয়াজদাহুম শীর্ষক আলোচনা সভা, বাদে আছর তরিক্বতের বিশেষ পদ্ধতিতে ফয়েজে কোরআন প্রদান, বাদে মাগরিব তাওয়াজ্জুহ্র মাধ্যমে রাসুল (দঃ) এর বাতেনী নূর বিতরণ ও রাসূলে পাক (দঃ) এর সুন্নাত তরিক্বায় বায়আত (যারা বায়আত এর নির্দিষ্ট ছবকপ্রাপ্ত), দেশবরেন্য ওলামায়ে কেরামের তকরীর এবং বাদে এশা মোর্শেদে আজম হুজুর ক্বেবলায়ে আলম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী ছাহেবের নূরানী তকরির, মিলাদ-কিয়াম ও আখেরী মুনাজাত। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও এসব কর্মসূচীতে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে দুপুর থেকেই হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান দরবার শরীফে আসতে থাকে।

বেলা বাড়ার সাথে সাথে আছরের পূর্বেই মাহফিলস্থল দরবার শরীফস্থ গাউছুল আজম জামে মসজিদ প্রাঙ্গনসহ এর আশেপাশের এলাকা লোকে লোকারন্য হয়ে জনসমুদ্রে রূপ নেয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও মাহফিলে প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক মুহাম্মদ ফোরকান মিয়া।

অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের ওলামা পরিষদের সচিব আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ ইব্রাহিম হানফি, উপাধ্যক্ষ আল্লামা বদিউল আলম আহমদী, আল্লামা কাজী আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী, মাওলানা মুহাম্মদ সেকান্দর আলী, মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান নোমান ও মাওলানা মুহাম্মদ ফোরকান।

এছাড়া রাউজান প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মীর মোহাম্মদ আসলাম, সাংবাদিক এম. বেলাল উদ্দিন, নেজাম উদ্দিন রানা, এস. এম. ফখরুল ইসলাম, কে. এম. জাহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। মিলাদ ও কিয়াম শেষে হুজুর ক্বেবলা দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা কাগতিয়ার গাউছুল আজমের দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন। এসময় হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমানের আমিন আমিন ধ্বনিতে এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের সূচনা হয়।



মন্তব্য চালু নেই