গরুর জন্য নির্ঘুম রাত

ভারতের কয়েকটি রাজ্যে গরু জবাই করা বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে। যেহেতু সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু দেশ তাই এমন ঘোষাণা এসেছে। উত্তর প্রদেশে বিজেপি বিজয়ী হওয়ার পরই এমন ঘোষণা আসে। এর পরই উত্তর প্রদেশ, গুজরাট ও রাজস্থানের সকল মাংসের দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়।

ভুক্তভোগী মাংসের দোকানিরা অভিযোগ করেছে, সরকারের এমন ঘোষণার পর আমরা যারা বৈধ দোকানি আছি তাদের ওপরও নির্যাতন চালানো হচ্ছে।

এদেকে গত শনিবার (১ এপ্রিল) রাজস্থানে ‘গাভী নজরদারী কমিটির’ সদস্যদের হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ বলেছে হামলাকারীকে আমরা সনাক্ত করার চেষ্টা করছি। এ ঘটনায় পুলিশ অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে একটি মামলাও করেছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, গাভী পাচার ও জবাই করা ঠেকাতে হিন্দু সংগঠনগুলো প্রত্যেক এলাকায় গাভী নজরদারী কমিটি গঠন করেছে। যারা রাত জেগে এলাকায় গরু পাহাড়া দেয়।

রাজস্থানের অধিবাসী আব্দুল মজিদ বলেছেন, গাভী জবাই ঠেকানোর নাম করে তারা মুসলমানদের ওপর জুলুম করছে। মাংসের দোকানগুলো জোড়পূর্বক বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।

মাংসের দোকানিরা আক্ষেপ করে বলেছে, ‘এর চেয়ে আমাদের হত্যা কর।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি গরু জবাইকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করে ভারতের গুজরাট রাজ্যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আইন পাশ করা হয়েছে। গরুর মাংস পরিবহন করার অপরাধে ১০ বছরের কারাদণ্ডেরও বিধান রাখা হয়েছে ।

এদিকে গত শনিবার ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিং গরু জবাইকারীদের ফাঁসি দেয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই