গবেষক সেজে নবজাতক চুরি, আটক হয়নি সেই নারী

রাজশাহী নগরীর নওদাপাড়ার নগর মাতৃসদন আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার থেকে অভিনব কায়দায় নবজাতক চুরির ঘটনায় জড়িত সেই নারী চোরকে সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা গেছে।

তবে তার পরিচয় সম্পর্কে এখনো পুরোপুরি অন্ধকারে রয়েছে পুলিশ। এরই মধ্যে ছবি নিয়ে ওই নারীর খোঁজে মাঠে নেমেছে পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।

সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, গায়ে লাল রঙের প্রিন্টের ওড়না বা চাদর জড়ানো ও কালো কামিজসহ চোখে চশমা, হাতে ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে রিকশা করে এসে বিনোদপুর বাজার এলাকায় নামছেন আনুমানিক ৪০ বছর বয়স্ক ওই নারী। এরপর পায়ে হেঁটে তিনি কাটাখালির দিকে যাচ্ছিলেন। এসময়েই মাত্র ১২ সেকেন্ডের একটি ফুটেজে তার ছবি ধরা পড়ে।

ঘটনার আগের দিন দুপুর ২টা ১২ মিনিটে ওই নারী নগরীর ডাঁশমারী আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার থেকে রিকশা নিয়ে বিনোদপুর এলাকায় যান। এরপর সেখানে নেমে তিনি কাটাখালির রাস্তার দিকে চলে যান। বিনোদপুর বাজার এলাকায় ইসলামীয়া কলেজের সামনে বসানো সিটি কর্পোরেশনের সিসিটিভি’র ফুটেজে ওই নারীর ছবি ধরা পড়ে।

সেই ছবি দেখে নবজাতকের মা মুক্তি খাতুন ও চুরির ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া আরবান হেলথ কেয়ারের স্বাস্থ্যকর্মী তোহুরা খাতুন ওই নারীকে শনাক্ত করেন। ওই নারী নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল গবেষক পলি হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী নগরীর শাহমখদুম থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান জানান, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) উদ্যোগে সড়কে স্থাপন করা ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা’র (সিসিটিভি) মাধ্যমে পাওয়া একটি ভিডিও দেখে ওই নারীর চেহারা শনাক্ত করা গেছে। কিন্তু চুরির আগে তিনি যে পরিচয় ও মোবাইল ফোন নাম্বার দিয়েছিলেন সবই ভুয়া। এ কারণে তার পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এরই মধ্যে ওই নারীর ছবি বিভিন্ন থানায় পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ জানয়ারি বিকেল ৩টার দিকে নগরীর নওদাপাড়ার নগর মাতৃসদন আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ারে একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন রাজশাহীর পবা উপজেলার চরশ্যামপুর এলাকার দিনমজুর নাসির উদ্দিনের স্ত্রী মুক্তি খাতুন। এরপর ওইদিন রাত সাড়ে নয়টার দিকে ওই নারী প্রতারণার নানা কৌশলে মুক্তির নবজাতকটিকে চুরি করে নিয়ে যায়। পুলিশ এ ঘটনায় মামলার পর তোহুরা খাতুন নামের এক স্বাস্থ্যকর্মীকে গ্রেফতার করে।



মন্তব্য চালু নেই