গণধর্ষিতাকে দেখতে গিয়ে সেলফি, তোপে কমিশন অধ্যক্ষ

গিয়েছিলেন গণধর্ষিতাকে সমবেদনা জানাতে। কিন্তু, সেখানে গিয়ে উল্টো ব্যস্ত হয়ে পড়লেন গণধর্ষিতার সঙ্গে সেলফি তুলতে। এমন কাজ কোনো সাধারণ মানুষ করেনি। যারা নারীদের নিয়ে কাজ করেন, তাদেরই একজন। ভারতের রাজস্থান ‘মহিলা কমিশনের’ অধ্যক্ষ। বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পরই ভারতে উঠেছে নিন্দার ঝড়।

দেশটির উচ্চ আদালতের নির্দেশমতো ধর্ষিতার নাম প্রকাশ্যে আনা যায় না। গোপন রাখা হয় তার পরিচয়। দু’দিন আগেই বিহার পুলিশ তাদের ফেসবুক পেজে দুই ধর্ষিতার নাম প্রকাশ করে দেয়। এ নিয়েই চলছে হইচই। এরই মধ্যে আবার রাজস্থান মহিলা কমিশনের অধ্যক্ষের সেলফি তোলার বিষয়টি সামনে এল।

কয়েকদিন আগে পণের জন্য এক গৃহবধূর কপালে তার শ্বশুরবাড়ির লোক ‘আমার বাবা চোর’ বলে উল্কি এঁকে দেয়া হয় বলে আরেকটি অভিযোগ এসেছিল। স্বামী ও দুই দেবর মিলে গণধর্ষণ করেন বলেও অভিযোগ করেন গৃহবধূর বাবা।

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার গতকাল নির্যাতিতাকে দেখতে যান রাজস্থান মহিলা কমিশনের অধ্যক্ষ সুমন শর্মা ও সদস্য সৌম্যা গুজ্জর। গণধর্ষিতার সঙ্গে কথা বলার সময় মোবাইল বের করে সেলফি তুলতে শুরু করেন সৌম্যা গুজ্জর ও অধ্যক্ষ।

বিতর্ক শুরু হওয়ার পর সাফাই দেন সুমন শর্মা। তিনি জানান, নির্যাতিতার সঙ্গে তিনি কথা বলার সময় আচমকাই ছবি তোলেন সৌম্যা গুজ্জর।



মন্তব্য চালু নেই