খয়ের রাজাকারের নাতী ইমরান সরকার!

গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার সঠিক পরিচয় জানতে চেয়েছেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ মানবতাবিরোধী অপরাধে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার রায়ের সময় ইমরান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চান বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
প্র্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ বুধবার সকালে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড বহালের আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণার পরপরই অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের কাছে ইমরান এর ব্যক্তিগত তথ্যসহ বিস্তারিত জীবনবৃত্তান্ত ও ঠিকানা জানতে চান।

এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে এ বিষয়ে আদেশ দিয়ে আদালত বলেন, আপনি ইমরান এইচ সরকারের বিষয়ে সব কিছু আদালতে জমা দেবেন। কেন ইমরান এইচ সরকারের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিতে হবে তা এ্যাটর্নি জেনারেল জানতে চাইলে আদালত বলেন, তিনি বিভিন্ন রায়ের আগে ও পরে রায় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাই তার জীবনবৃত্তান্ত জানতে চাওয়া হয়েছে।

প্র্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

উল্লেখ্য, ইমরান এর গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার রাজীবপুর উপজেলার বালিয়ামারী বাজারপাড়া গ্রামের এলাকাবাসীরা জানান, এমরানের দাদা খয়ের উদ্দিন ছিলেন একজন চিহ্নিত রাজাকার। মুক্তিযোদ্ধারা একাত্তর সালেই রাজাকার খয়ের উদ্দিনকে বিএসএফের সহযোগিতায় হত্যা করে।

খয়ের উদ্দিন সম্পর্কে রাজীবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আবদুল হাই সরকার জানান, ইমরানের দাদা খয়ের উদ্দিন কোনোদিনই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাকে বিএসএফের সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধারা হত্যা করে।

এলাকাবাসী ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সূত্র জানায়, ইমরানের বাবা আবদুল মতিন সরকারও ছিলেন তার দাদার অনুসারী। দেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার পর জীবন বাঁচাতে মতিন সরকার প্রথমে সিপিবি এবং পরে সুযোগমত ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগে আশ্রয় নেন।

স্বাধীনতার পর ঢাকায় থাকা তার আত্মীয়স্বজন ডা. ইমরানের পরিবারকে শহীদ পরিবার বানিয়ে সরকার থেকে একটি বাড়ি বরাদ্দ নেয়। পরে বিষয়টি ভুয়া বলে জানাজানি হয়ে গেলে বাড়িরটির বরাদ্দ বাতিল হয় বলে জানা যায়।



মন্তব্য চালু নেই