খোরদো মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার খোরদো মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শুন্যপদে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে পত্রিকায় একাধিক সংবাদ প্রকাশের পর অভিযুক্ত শিক্ষক দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছে। এদিকে, ওই প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জিএম আমিনুল ইসলামসহ ৫জন শিক্ষক মোটা অংকের টাকার দর কসাকষির এক পর্যায় প্রার্থীর পদ থেকে ছিটকে পড়ে। সরকারি নিয়মনীতি অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে পছন্দের প্রার্থী কে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা করা হচ্ছে। এমন অভিযোগ হওয়ার পরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী মাহবুবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও দাতা সদস্য প্রভাষক আব্দুল মান্নান, ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মাষ্টার ইবাদুল¬্যাহ গাজীসহ ৩১৭ জন স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রে নিয়োগ বোর্ড বন্ধের সুপারিশ করা হয়। ইউনিয়ন ভূমিহীন কমিটির সভাপতি খোরদো গ্রামের মোসলেম গাজীর পুত্র ছাত্র অভিভাবক মিল্টন কবির শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বন্ধের জোর দাবি করে উপজেলা, জেলা শিক্ষা অফিস, মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড যশোর ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে আবেদন করেছেন। বিদ্যালয়ের সভাপতি কোন অভিযোগ ও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে উপর মহলের ইন্ধনে প্রার্থীর নিকটতম আত্মীয় বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক নাশকতা মামলায় জামিনে মুক্ত মাওলানা আব্দুল আজিজকে প্রধান করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল হামিদ, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অভিভাবক সদস্য সাইমুর রশিদের উপস্থিতিতে করারোয়া গার্লস পাইলট স্কুলে ২৬ জুন সকাল ১০টায় ৬ জন প্রার্থীর উপস্থিতিতে নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। সূত্র জানায় ১৭ জুন বিদ্যালয়ের ছুটি ঘোষণা করা হয়, ১৮ জুন গোপন বৈঠক করে সিল স্বাক্ষরের মাধ্যমে আব্দুল আজিজকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই ঘটনায় দাতা সদস্য মাষ্টার জালাল উদ্দীন, আসাদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পাতানো নিয়োগ বোর্ড করে বিতর্কিত শিক্ষক রবিউল আলমকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।



মন্তব্য চালু নেই