খোঁজ মিললো হিটলারের গোপন নাৎসি ঘাঁটির

বিগত প্রায় ৫/৬ দশক ধরে একদল মানুষ সারা পৃথিবী ঘুরে খুঁজে বেড়াচ্ছেন গোপন নাৎসি ঘাঁটি। এই ট্রেজার হান্টারদের দল মনে করেন যে এই গোপন ঘাঁটিগুলিতে সঞ্চিত রয়েছে অমূল্য ধনরত্ন, বিশেষ করে তাল তাল সোনা।

জার্মানির ধনী ইহুদিদের বাজেয়াপ্ত করে নেওয়া সম্পত্তি, ইউরোপের যে যে দেশগুলি নাৎসিরা দখল করেছিল, সেই দেশের নাগরিকদের থেকে লুঠপাট করা সম্পদ ইত্যাদি সবই জমা হতো নাৎসিদের গোপন ঘাঁটিগুলিতে। তাই যেদিন থেকে নাৎসি পতন ঘটেছে এবং শেষ হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোল, সেই থেকেই একদল মানুষ আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তেমন কোনও গোপন ঘাঁটির সন্ধান পেতে।

তবে শুধু ‘গোল্ড ডিগার’-রা নয়, গবেষণার প্রয়োজনে ক্রমাগত নাৎসি ঘাঁটির সন্ধানে করে চলেছেন ঐতিহাসিকরা। তেমনভাবেই রাশিয়ার এক গবেষক দল সদ্য আবিষ্কার করেছে একটি গোপন ঘাঁটি, যেটি রয়েছে উত্তর মেরুর কাছে। জানা গিয়েছে, মেরু থেকে ১০০০ কিমি দূরে, আলেক্সান্দ্রা ল্যান্ড-এ অবস্থিত এই ঘাঁটি তৈরি হয়েছিল ১৯৪২ সালে, হিটলার রাশিয়া আক্রমণ করার পরে। এই ঘাঁটির কোডনেম ছিল ‘শ্যাটজগ্র্যাবার’, যার অর্থ ট্রেজার হান্টার। ১৯৪৪ সালে পরিত্যক্ত হয় এই ঘাঁটি। সেই সময় মেরুভল্লুকের মাংস খেয়ে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ঘাঁটির বিজ্ঞানীরা।

তার পরে প্রায় ৭২ বছর পরিত্যক্ত ছিল সেই ঘাঁটি। বিদেশী সংবাদপত্র ডেইল মেলের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি সেই ঘাঁটির থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ নথি, বুলেট ও নাৎসিদের ব্যবহৃত আরও বহু জিনিসপত্র। মূলত আবহাওয়ার পূর্বাভাসের রিপোর্ট তৈরি করাই ছিল এই ঘাঁটির বিজ্ঞানীদের কাজ। সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই নাৎসি সাবমেরিন, যুদ্ধজাহাজ ও ট্রুপ কীভাবে মোতায়েন করা হবে সেই সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো।

কিন্তু কিছু বিশেষজ্ঞের মত, এই ঘাঁটি তৈরি করা হয়েছিল অন্য একটি গোপন মিশনের জন্য। কী সেই মিশন? অনেকের মতে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রত্নবস্তু সংগ্রহই ছিল মূল উদ্দেশ্য। সত্যিই যদি তা হয়ে থাকে, তবে কি ওই ঘাঁটির গোপন কোনও কুঠুরিতে রয়ে গিয়েছে কোনও দুর্মূল্য প্রত্নবস্তু। এবেলা।



মন্তব্য চালু নেই