খেলার অনুমতি পাননি শাহাদাত

গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার কাজী শাহাদাত হোসেন রাজীবকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) জাতীয় দলে এবং প্রিমিয়ার লীগে খেলার অনুমতি দেননি ট্রাইব্যুনাল। আর এই কারণে শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে বিসিবি’র নিষেধাজ্ঞাই বহাল রইল।

রোববার জাতীয় দলে ও প্রিমিয়ার লীগে খেলার অনুমতি চেয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন। শাহাদাতের পক্ষে আবেদনটি করেন কাজী নজিবুল্লাহ হিরু। শুনানি শেষে ঢাকার পাঁচ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তানজীনা ইসমাইল আবেদন খারিজ করে দেন। আদেশে বিচারক বলেন, ‘দরখাস্তকারী (ক্রিকেটার শাহাদাত) এই মামলার বিচারাধীন অভিযুক্ত। কোন অভিযুক্ত আসামির তার জীবিকা নির্বাহের জন্য পেশা পালনে ট্রাইব্যুনালের অনুমতির প্রয়োজন নেই। আসামি যে অনুমতি প্রার্থণা করেছেন তা বিসিবি বা ক্রিকেট বোর্ড সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই সিদ্ধান্ত দেবে, ট্রাইব্যুনাল নয়। এ কারণে আবেদন অপ্রাসঙ্গিক হওয়ায় তা নামঞ্জুর করা হল।’

এ সম্পর্কে আসামি পক্ষের আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু বলেন, ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় তাকে বাংলাদেশের জাতীয় দলে ও বিভিন্ন ক্লাবে খেলায় নেয়া হচ্ছে না। তাই এ বিষয়ে খেলার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।’

ক্রিকেটার শাহাদাত দম্পতির বিরুদ্ধে গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপিকে নির্যাতনের মামলা দায়ের হওয়ার পরপরই ২০১৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে বিসিবি’র কোনো সম্পর্ক নেই।’ এ ঘোষণার পরের দিন বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন বিসিবি কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশগ্রহণ এবং প্রশিক্ষণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, মিরপুরের ২ নম্বর সেকশনের এইচ ব্লকের ৫ নম্বর রোডে শাহাদাতের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতো হ্যাপি। গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে পল্লবীর সাংবাদিক কলোনির ৩ নম্বর রোডের মাথায় হ্যাপিকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন মিরাজ উদ্দীন নামের এক ব্যক্তি। গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন রাজীবের বিরুদ্ধে গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে তাদের বিরুদ্ধে শিশুটিকে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়। এরপর গত ১৩ সেপ্টেম্বর গৃহপরিচারিকা মাহফুজা আক্তার হ্যাপি (১১) আদালতে হাজির হয়ে জবানবন্দি দেন।



মন্তব্য চালু নেই