খুলনা সাকিবের প্রিয় মাঠ

বাংলাদেশ দল এর আগে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। যেথানে জয়-পরাজয়ের হার ফিফটি-ফিফটি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই মাঠে খেলা সর্বশেষ ম্যাচে ১৬২ রানের বড় জয় পায় টাইগাররা। অপর ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে গেলেও ম্যাচকে শেষ দিন পর্যন্ত নিয়ে যেতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। ফলে পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন খুলনা টেস্টে অতীত পরিসংখ্যান থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামবে টাইগাররা।

বাংলাদেশের জন্য খুলনা যেমন লাকি গ্রাউন্ড, ঠিক তেমনি টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের জন্যও এটি প্রিয় মাঠ। টেস্টে খুলনার আবু নাসের স্টেডিয়াম সাকিবকে দু’হাত ভরে দিয়েছে। ব্যাটিং ও বোলিংয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন দেশসেরা এই ক্রিকেটার।

খুলনায় দুই টেস্টের চার ইনিংসে ৬৪.২৫ গড়ে ২৫৭ রান করেন সাকিব আল হাসান। বোলিংয়ে ছিলেন আরও দুর্দান্ত। ১৯.৬৪ গড়ে ১৪ উইকেট লাভ করেন তিনি। যেই মাঠ আগের দুই টেস্টে সাকিবকে দু’হাত ভরে দিয়েছে সেই মাঠে মঙ্গলবার ফের নামতে যাচ্ছেন টাইগার অলরাউন্ডার।

টেস্টদলগত বছরের ৩-৭ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলা টেস্টে সাকিব আল হাসান অসাধারণ এক কীর্তি গড়েন, যা তাকে ইমরান খান ও ইয়ান বোথামদের মতো কিংবদন্তীদের পাশে বসিয়ে দেয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলা ঐ টেস্টে সেঞ্চুরি ও ১০ উইকেট লাভ করার কীর্তি গড়েন সাকিব। ইমরান খান, বোথাম ও অ্যালান ডেভিডসন ছাড়া এই চূড়ায় উঠতে পারেননি আর কোনো ক্রিকেটার। গত ৩০ বছরে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সাকিব এই মাইলফলক গড়েন।

তবে একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও ১০ উইকেট লাভ করার ক্ষেত্রে সাকিব এক জায়গায় আগের তিনজনকে ছাড়িয়ে গেছেন। ইমরান, বোথাম ও ডেভিডসন পেসার অলরাউন্ডার হিসেবে এই কীর্তি গড়েন। সাকিব আল হাসান একমাত্র স্পিনার হিসেবে এই দুর্দান্ত মাইলফলক গড়েন।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঐ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৬ রান করে আউট হলেও প্রথম ইনিংসে ১৮০ বলে ১৩৭ রানের নান্দনিক ইনিংস উপহার দেন সাকিব। এরপর বোলিংয়ে দুই ইনিংসে পাঁচটি করে ১০টি উইকেট লাভ করেন তিনি।

এবার খুলনার আবু নাসের স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের সামনে এক সময়ের অপরাজেয় পাকিস্তান। যাদেরকে এবার ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজে স্রেফ উড়িয়ে টাইগার বাহিনী। টেস্টেও তেমন কিছু করার জন্য বাংলাদেশ নিশ্চয়ই ‘গোল্ডেন বয়’ সাকিবের দিকে তাকিয়ে থাকবে।



মন্তব্য চালু নেই