খুলনা থেকে সিলেট, ভারতে ফেরত চাইলেন বিজেপি নেতা: আসামের পত্রিকার প্রতিবেদন

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের সাথে বাংলাদেশের রাজনীতির সমীকরণ নিয়ে যখন দেশের বিশ্লেষকরা ব্যস্ত, ঠিক তখনই নতুন ভূ-ত্বত্ত নিয়ে হাজির হয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা সুব্রাক্ষণিয়ম স্বামী। তিনি বাংলাদেশের খুলনা থেকে সিলেট পর্যন্ত সমান্তরাল রেখা টেনে ওই জমি ভারতের হাতে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। শনিবার আসামের শিলচর থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিক সাময়িক প্রসঙ্গ এ খবর দিয়েছে।

কট্টরপন্থীদের দল হিসেবে পরিচিত বিজেপির এই শীর্ষ নেতা ১৯৪৭ সালের জুনে ব্রিটেনের হাউস অব কমন্সে ‘ভারতের দেশভাগ নিয়ে বির্তক’ এবং ভারতে স্বাধীনতা সনদ প্রসঙ্গ টেনে এনে যে যুক্তি দেখান তার সারমর্ম হচ্ছে, দেশ ভাগের পর অধুনা বাংলাদেশ থেকে এক তৃতীয়াংশ মুসলমান ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে বাংলাদেশকে। অন্যথায় এসব মুসলমানের সংস্থাপনের জন্য বাংলাদেশকে এক তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড জমি ছাড়তে হবে ঢাকাকে। মানুষের বোঝা চাপিয়ে দিলে দিতে হবে জমিও।

পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বামীর যুক্তি হলো-সৌদি আরব, কুয়েত, কাতারসহ বিশ্বের যেসব দেশে মুসলমানদের সংখ্যাধিক্য সেখানে হিন্দুরা মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। এমনকি প্রকাশ্যে ধর্ম পালনেরও অধিকার নেই তাদের। একমাত্র ভারতেই যেহেতু হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, তাই এই দেশ ধর্মনিরপেক্ষ। ফলে সীমান্তপার (বাংলাদেশ) অনুপ্রবেশ সম্পর্কে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

স্বামীর মতে, অধুনা বাংলাদেশ ভূখণ্ড থেকে এক-তৃতীয়াংশ মানুষ সীমান্ত টপকে ঢুকেছে এদেশে। তাই এদের ফিরিয়ে না নিলে বাংলাদেশকে ছেড়ে দিতে হবে সে দেশের এক-তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড।

স্বামীর প্রস্তাবের গ্রহণযোগ্যতা এবং বিজেপির হাইকমান্ডের মনোভাব বিষয়ে স্বামী জানিয়েছেন, এ নিয়ে তিনি এখনো মোদি বা বিজেপির সঙ্গে কথা বলেননি ঠিকই, কিন্তু নতুন এই তত্ত্বের কথা যথাসময়ে দেশের সংসদে উত্থাপন করবেন। সংসদে এ নিয়ে বিতর্ক হওয়া প্রয়োজন সে কথা তিনি দলীয় নেতৃত্বকে বুঝিয়ে বলবেন।

সাময়িক প্রসঙ্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার একদিনে সফরে গৌহাটিতে পা রেখেছিলেন স্বামী। উদ্দেশ্য, দলের নির্বাচনী বাতাস বইয়ে দেয়া। কোনো প্রচার সভায় ভাষণ না দিলেও স্থানীয় বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে এক আলাপতারিতায় অংশ নেন তিনি। মুখোমুখি হন সাংবাদিকদেরও।

গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সুব্রাক্ষণিয়ম স্বামী কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর ধর্ম নিয়ে নানা পদক্ষেপের সামলোচনা করেন এবং কংগ্রেসের অনিয়ম-দূর্নীতির কথা তুলে ধরেন। এছাড়া তিনি নির্বাচনের ফলাফল সর্ম্পকে পূর্বাভাস দিয়ে জানান, বিজেপি একাই ২৮০ আসন পাবে এবং জোটবদ্ধভাবে ৩৩৫।



মন্তব্য চালু নেই