খুব সহজেই কমিয়ে ফেলুন বাহু আর বগলের তলার চর্বি!

বেশকিছুদিন ধরে হাতাছাড়া জামাগুলোর দিকে তাকাতেই পারছেন না? ইচ্ছে হলেও কিনতে বা পরতে পারছেন না সেগুলোকে? শুধু আপনিই নন, ওজন বেশি হোক কিংবা কম, একটা সময় গিয়ে সবার, বিশেষ করে নারীদের জন্যে বেশ অস্বস্তিকর আর ঝামেলার ব্যাপার হয়ে দাড়ায় হাতের কনুইয়ের উপরের অংশের ঝুলে থাকা আর বগলের তলায় জমে যাওয়া বাড়তি চর্বি। অনেকেই অবশ্য ভেবে থাকেন যে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোর ভেতরে হাতদুটোই তো সবচাইতে বেশি ব্যবহৃত হয়। আর তাই বাড়তিভাবে বাহু আর বগলের নীচের অংশের চর্বি কমানোর কোন চেষ্টা করার দরকার পড়বে না। বাস্তবে কিন্তু ব্যাপারটা একেবারেই সেটা হয় না। আর তাই লজ্জাজনক আর বিশ্রী দেখতে আপনার শরীরের এই বাড়তি অংশটিকে আজই দূর করে ফেলুন এই কয়েকটি উপায় মেনে।

১. হাত দুটোকে ব্যস্ত রাখুন

দৈনন্দিন জীবনের বেশিরভাগ কাজকর্মেই হাত ব্যবহার করি আমরা। বাহুর চর্বি কমাতে এটা পুরোপুরি সাহায্য না করলেও অনেকটাই প্রভাবিত করে। তাই দিনে নিজের হাত দুটোকে কেবল শরীরচর্চার জন্যে অপেক্ষা না করিয়ে রেখে কাজে লাগান অন্যকিছুতে। এছাড়াও সময় পেলেই দুই বাহুকে মেলে দিন দুইটাশে। বারবার সেটাকে পাখির মতন উঁচু-নিচু করতে থাকুন। চিকিৎসকদের কথানুসারে, বাহু দুই পাশে প্রসারিত করলে সেটা বগল ও বাহুর নীচের চর্বিতে বেশ প্রভাব ফেলে এবং চর্বি কমাতে সাহায্য করে।

২. শরীরচর্চা করুন

শরীরচর্চার নানারকম পদ্ধতি রয়েছে বগল আর বাহুর চর্বিকে কমানোর জন্যে। এর ভেতরে খুব ওজা কয়েকটির কথা এখানে বলা হল আপনাকে।

ক) দুই পাশে হাত ঘোরানো- ঠিক সিলিং ফ্যানের মতন করে নিজের দুইপাশে থাকা দুটো হাতকে বেশ জোরে ঘুরোতে থাকুন।

খ) হাত বাঁকানো- মেঝেতে বসে হাঁটু মুড়ে মেঝের সাথে পা লাগিয়ে বসুন। এরপর আপনার দুই হাতকে পেছনে এমনভাবে নিয়ে যান যাতে করে আঙ্গুলগুলো আপনার পেছনের অংশের দিকে তাক করা থাকে।

গ) নিজের ভার বহন করা- ছোটবেলার কথা মনে আছে? ঐ যে হাতের ওপর শরীরের পুরোটা ভর ছেড়ে দেওয়া? চেষ্টা করুন সেটাকে একবার। একবার নিজের সমস্ত শরীরকে হাতের জিম্মায় উঠিয়ে নিয়ে সেটা করুণ ২০ বার(টাইমস অব ইন্ডিয়া )।

৩. খাদ্যাভ্যাসে আনুন পরিবর্তন

নিজের খাবারে পরিবর্তন আনুন। চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব কাঁচা শাক-সব্জি খাওয়ার। এছাড়াও ঘরে ভর্তি করে রাখুন শস্য, ডিম, বাদাম, শিম, জলপাই তেল, কম স্নেহজাতীয় ডেইরি পণ্যসহ এমন সব খাবার যেগুলোতে খুব বেশি ক্যালোরি শরীরে আসবে না, অথচ পেট ভরা থাকবে বেশি সময়। এছাড়াও দিনে তিনবার অনেকটা সময় ধরে না খেয়ে পুরো দিনে অল্প অল্প করে পাঁচ-ছয়বার খান। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন আর রাতে ঘুমোবার অন্তত ২ ঘন্টা আগে রাতের খাবারটা সেরে ফেলুন ( লিভস্ট্রং )।

৪. কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন

খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে যেমন কিছু খাবার ও খাবার সময় দৈনন্দিন জীবনে যোগ করবেন আপনি, ঠিক তেমনি আপনাকে বাদ দিতে হবে কিছু চর্বিযুক্ত ও চর্বির পক্ষে সহায়ক খাবারও। এর ভেতরে রয়েছে সাদা রুটি, সাদা চিনি, কেক, জাঙ্ক ফুড, ভাজা খাবার, সোডা, এনার্জি ড্রিংক ইত্যাদি।



মন্তব্য চালু নেই