খুব শিগগিরই এলিয়েনদের বার্তা পাঠানো শুরু করবেন বিজ্ঞানীরা

এলিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বড় একটি প্রজেক্ট শুরু হয়েছে। তবে শঙ্কা রয়েছে যে, এলিয়েনরা মানবজাতির ধ্বংসের কারণ হতে পারে।

এ প্রজেক্টের নাম ‘মেটি’ বা মেসেজিং এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এটা সম্পূর্ণ নতুন এক উদ্যোগ। মহাশূন্যে সংকেত পাঠানো হবে এই প্রজেক্টের মাধ্যমে। ২০১৮ সাল থেকে কাজ শুরু। সেই সময় থেকে মানবজাতি এলিয়েনদের যোগাযোগের মধ্যেই সময় কাটাবে। হয়ত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও কথা হবে।

কিন্তু বহুকাল ধরেই বিজ্ঞানীরা বলে আসছেন, এসব সংকেত মানবজাতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কোনো ধ্বংসাত্মক এলিয়েনরা সংকেত পেলে তা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। বিশেষ করে বিখ্যাত পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং বার বার অশনি সংকেত দিয়েছেন।

এ বছরের প্রথম দিকেই বলা হয়, এলিয়েনদের প্রতি যেকোনো ধরনের সংকেত পাঠানোর বিষয়টি আশঙ্কা সৃষ্টি করে। বিষয়টা তেমনই হতে পারে যা ঘটেছিল ক্রিস্টোফার কলম্বাস যখন প্রথম আদিবাসী আমেরিকানদের মুখোমুখি হয়েছিলেন।

এ ছাড়া হকিং আরো বলেছেন, আমরা যে এলিয়েন জাতির সঙ্গেই যোগাযোগ করি না কেন, তাদের কাছে আমাদের সভ্যতা ও বিজ্ঞান একটি ব্যাকটেরিয়ার চেয়ে বেশি কিছু হবে না। আর এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের মৃত্যু অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে।

আসলে বিজ্ঞানীদের এই বার্তা মহাকাশে কোথায় কিভাবে পাঠানো হবে তা এখনো ঠিক করা হয়নি। এ বিষয়ে কোনো নীতিমালা ঠিক করা হয়নি। কাজেই এমইটিআই এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কোনো নিয়ম ছাড়াই এ কাজটি করতে পারবে।

তবে এমইটিআই জানিয়েছে, তারা আসলে শিক্ষা গ্রহণ এবং তথ্য বিনিময় নীতিতে যোগাযোগের চেষ্টা করবে। অবশ্য যদি তা সফল হয়।

বর্তমান দলটি দেখছে কিভাবে কাজটি সর্বোচ্চ সফলতার সঙ্গে করা যায়। এমন মেসেজ পাঠাতে হবে যা এলিয়েনরা বুঝতে পারে। তবে বার্তায় মৌলিক গণিত এবং বিজ্ঞান থাকতে হবে।

বিজ্ঞানীদের দল প্রাথমিক কাজটি করতে ১ মিলিয়ন ডলারের ফান্ড গঠন করেছে। এর কিছু অর্থ ব্যয় হবে শক্তিশালী ট্রান্সমিটার তৈরি বা ধার করতে।

এর আগেও নাসার পায়োনিয়ার ১০ এবং ১১ মহাকাশযানের মাধ্যমে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের জীবিত প্রাণীদের কাছে মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এখনো জানা যায়নি, এসব মেসেজ আদৌ কোনো জাতি পেয়েছে কি না?
সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট



মন্তব্য চালু নেই