খিজির হত্যা: জেএমবি সদস্য তরিকুলের দোষ স্বীকার

বিদ্যু উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সাবেক চেয়ারম্যান খিজির খান হত্যা মামলায় জেএমবি সদস্য তরিকুল ইসলাম মিঠু ম্যাজিস্ট্রেট্রের কাছে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

আজ রবিবার তিনি ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হকের কাছে জবানবন্দি দেন। দুই দফায় আট দিনের রিমান্ড শেষে তিনি এ জবানবন্দি দিলেন।

একই সঙ্গে রিমান্ডে থাকা অপর আসামি জেএমবি সদস্য মো. আলেক ব্যাপারীকেও এদিন আদালতে হাজিরা করা হয়। তবে তিনি স্বীকারোক্তি করেননি।

এর আগে গত ১৪ অক্টোবর টাঙ্গাইল থেকে তরিকুলকে ও রাজধানী ঢাকার মিরপুর থেকে আলেক ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এরপর গত ১৫ অক্টোবর আদালত এদের তিনদিন এবং গত ১৯ অক্টোবর পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশের দাবি, তরিকুল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) অন্যতম সংগঠক। ২০০৫ সালে সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় করা মামলায় তিনি পাঁচ বছর কারাভোগ করেন। খিজির খান হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলেন আটজন। যে গাড়িতে করে হত্যাকারীরা এসেছিলেন, সেই গাড়ির চালক ছিলেন আলেক ব্যাপারী। হত্যাকারীরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। একদল তিনতলায় গিয়ে পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে দুটি ল্যাপটপ, দুটি ক্যামেরা ও স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। আরেক দল দোতলায় এক হয়ে খিজির খানকে গলা কেটে হত্যা করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তরিকুল ও আলেক জানিয়েছে, ধর্মীয় মতাদর্শের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। তাঁরা পীর হত্যা ঈমানি দায়িত্ব মনে করেন। এ কাজটিকে তাঁরা শিরক মনে করেন।

প্রসঙ্গত, খিজির খানকে গত ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় ঢাকার মধ্য বাড্ডায় জ-১০/১, নিজ বাসায় গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। মধ্য বাড্ডার বাড়িটির তৃতীয় তলায় পরিবার নিয়ে থাকতেন খিজির খান। এর দোতলায় রয়েছে ‘রহমতিয়া খানকাহ শরিফ (ঢাকা শাখা) ’। খিজির খান এই খানকাহ শরিফের পীর ছিলেন। ওই ঘটনায় খিজির খানের ছোট ছেলে আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় মামলা করেন।



মন্তব্য চালু নেই