খালেদা জিয়ার মামলার পরবর্তী তারিখ ১ ডিসেম্বর

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি করা হয়েছে। পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে ১ ডিসেম্বর।

রাজধানীর বকশিবাজারে আলিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালত সোমবার এ আদেশ দেন।

আদেশে বলা হয়, আপিল বিভাগে খারিজ হয়ে যাওয়া বেগম খালেদা জিয়ার দুটি লিভ টু আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় না পাওয়া পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি থাকবে।

সকালে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ছিল। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় তার পক্ষে সময়ের আবেদন করেন আইনজীবীরা।

সোমবার আপিল বিভাগ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুনীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ও অভিযোগ আমলে নেয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন।

গত ৯ নভেম্বর খালেদা জিয়ার পক্ষে করা এক সময় আবেদনের শুনানি শেষে তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৪ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন। ওইদিন হাজিরা দিতে আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন খালেদা জিয়া।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা করা হয়।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।

এর মধ্যে তারেক রহমান দেশের বাইরে আছেন। মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ জামিনে আছেন। তবে শরফুদ্দিন আহমেদ আদালতে হাজির না থাকায় ১৯ মার্চ তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। অপর দুই আসামি ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

দুদকের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ মামলাটি তদন্ত করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ অপর চারজনকে অভিযুক্ত করে ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।



মন্তব্য চালু নেই