‘খালেদা জামায়াতের আমির বলেই নেতাকর্মীরা শুনে না তার কথা’

ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াত-শিবিরকে মদদ দেয়ায় বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়াকে একদিন আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি এখন আর কোনে রাজনৈতিক দল নয়। এ দলটি এখন রক্তপিপাসু দানবদের দলে পরিণত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া জামায়াতে ইসলামীর আমিরের দায়িত্ব পালন করছেন। তাই তার দলের নেতা-কর্মীরা তার কথা শোনেন না।

তিনি আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোটের উদ্যোগে জামায়াতের ডাকা হরতালের বিরুদ্ধে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল-পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

জোটের সভাপতি ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুল হক সবুজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম।

সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, দপ্তর সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মিলন প্রমুখ।

মায়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০২১ সালের আগেই দেশ মধ্যমআয়ের দেশে পরিণত হবে বুঝতে পেরেই বিএনপি ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করে ক্ষমতায় আসতে চায়।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মী জীবিত থাকা অবস্থায় বিএনপির এ ষড়যন্ত্র সফল হবে না । রাজাকারের গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়তে দেয়া হবে না।
মায়া বলেন, ২০১৪ সালেই বিএনপির চুড়ান্ত পতন হয়ে গেছে। ২০১৫ সাল হবে তাদের সর্বনাশের বছর।

কামরুল বলেন, জামায়াত আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হরতাল আহবান করেছে। যা আদালতকে অবমাননা করা।

তিনি বলেন, আদালতের রায় ঘোষণার সাথে সাথে তারা হরতাল আহ্বান করবে- আবার রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীলের সুযোগ গ্রহণ করবে -এটা হতে পারে না। এটা পরস্পর-বিরোধী।

কামরুল বলেন, জামায়াতের ধ্বংসাত্মক হরতাল কর্মসূচি ঘোষণার পেছনে বিএনপির মদদ রয়েছে। তাদের মদদ ছাড়া হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করার মতো সাহস জামায়াতের নেই।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ২০১৩ সালের মতো দেশকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করতে চায়। তাই তাদের প্রতিরোধ করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ খোলা নেই। রাজপথে তাদের মোকাবেলা করতে হবে।

সমাবেশ শেষে জোটের উদ্যোগে একটি বিরাট বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেট হয়ে জিপিও মোড় ঘুরে আবার দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। সূত্র: বাসস



মন্তব্য চালু নেই