গ্রেফতারের পরোয়ানা ৩ থানায় :

খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

ঢাকার বকশীবাজার এলাকায় আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অবস্থিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দার বুধবার সকালে আদেশ জারি করেন।

ওই দুই দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ ৯ জনের আদালতে হাজির হওয়ার দিন ছিল বুধবার। খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া সময়ের আবেদন করেন। এ আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, বেগম খালেদা জিয়া হরতাল-অবরোধে নিরাপত্তাজনিত কারণে আদালতে হাজির হতে পারেননি। এ ছাড়া বিচারক বদলি চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি রাখার আবেদন করা হয়। আদালত সময় আবেদন বাতিল করে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

চলতি বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুবেদ রায়।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এ মামলার অপর আসামীরা হলেন-খালেদার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

অপরদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরও একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামীরা হলেন- মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

গ্রেফতারের পরোয়ানা ৩ থানায়
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কপি রাজধানীর তিন থানায় পাঠানো হয়েছে। এগুলো হলো- রমনা, গুলশান ও ক্যান্টনমেন্ট থানা।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করছে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ। ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসি আতিকুর রহমান এবং রমনা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শিবলী নোমান বলেন, ‘এ ধরনের কাগজ আমরা এখনো পাইনি।’ গুলশান থানার ডিউটি অফিসার এসআই সুজনও বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

এর আগে বুধবার সকালে ঢাকার বকশিবাজার এলাকায় আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এ পরোয়ানা জারি করেন।

এদিন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের ধার্য তারিখ ছিল। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে খালেদা জিয়া আদালতে যাননি। তার পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন নাকচ করে খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। অপর দুই আসামি হলেন- মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।



মন্তব্য চালু নেই