খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছাল

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আবার পিছিয়েছে। আজ বুধবার আদালতে হাজির হওয়ার কথা থাকলেও খালেদা জিয়া হাজির হননি। পরে ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ এম আমিনুল ইসলাম এই শুনানির জন্য ১২ ‍এপ্রিল নতুন দিন ঠিক করে দেন।

মামলার ১১ আসামির মধ্যে খালেদাসহ সাতজন এদিন আদালতে না এসে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করেন। খালেদার পক্ষে ওই আবেদন জানিয়ে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও জয়নাল আবেদীন মেজবাহ।

দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।

শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের শুনানির নতুন তারিখ ঠিক করে দেন।

এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর এই শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও খালেদার সময়ের আবেদনে তা পিছিয়ে যায়।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দেয়ার অভিযোগে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়। ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলাটি তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

মামলাটিতে ২০০৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর এ মামলায় স্থায়ী জামিন পান বেগম জিয়া। মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়াও আরো ১০ জন আসামি রয়েছেন। মামলার বাকি আসামিরা হলেন- সাবেক চার দলীয় জোট সরকারের আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ, প্রাক্তন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, প্রাক্তন সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের প্রাক্তন মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের প্রাক্তন সচিব মো. শফিউর রহমান, বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম) এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।



মন্তব্য চালু নেই