খালেদার চিন্তায় দুই রাত ঘুম নেই হানিফের !

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সুখে নেই সেই চিন্তায় দুই রাত নির্ঘুম কাটিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
বুধবার দশম জাতীয় সংসেরদ নবম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন হানিফ।

তিনি বলেন, গত কয়েকদিন আগে দেখলাম প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া একটি কর্মীসভায় বক্তব্যের বলেছেন, ওনারা নাকি খুব কষ্টে আছেন? দেশের মানুষ নাকি কষ্টে আছেন। শান্তিতে নেই, অশান্তিতে আছে। আমি এটা শুনে খুব অবাক হলাম। অনেক ভেবে কষ্টের কারণগুলো কি খুঁজে বের করা চেষ্টা করলাম। এটি ভাবতে ভাবতে আমার দুটি রাতেই নির্ঘুম কেটে গেছে। তবে কষ্টের কারণগুলো খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারপরও দুই একটি খুঁজে পাওয়া গেছে। যেখানে দেশ আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। ঠিক এসময় দেশের মানুষ কষ্টে আছে কথাটি অবিশ্বাস্য বলে মনে হয়েছে।

সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন, অর্জন ও পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন,‘ যে বিশ্বব্যাংক আমাদের পদ্মা সেতু নির্মাণে ঋণ সুবিধা প্রদান করে নাই। যারা দুর্নীতির অভিযোগ করেছিল। সেই বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট পেরুতে দ্রুত উন্নয়নশীল দেশের উদাহরণ দিতে গিয়ে বাংলাদেশকে ‘রোল মডেল’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

আজকে যখন পদ্মা সেতু দেশের নিজস্ব অর্থায়নে হচ্ছে তখন বেগম জিয়ার মনে কষ্টটা একটু বেশীই হচ্ছে। কারণ ওনি কয়েকদিন আগেও বলেছেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু আর কোনদিন হবে না। তিনি বলেন, মানুষের জীবনের প্রথম প্র্রেম ভোলা খুব কষ্টকর হয়। আর সেটা যদি বিরহ হয় তাহলে সেটা আরও কষ্ট হয়’ উল্লেখ করে হানিফ বলেন, আমার সেই অভিজ্ঞতা হয়ত নেই। কিন্তু আমাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আছে।তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ১৯৯৩ সালে জেনারেল জানজুয়ার মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার ভঙ্গ করে শোকবার্তা পাঠিয়েছিলেন।এটা আসলে তার সেই প্রথম প্রেম। যেটা আসলেই ভোলা যায় না।

তিনি আরও বলেন, বেগম জিয়া বলেছেন ওনার শান্তি নেই। আসলেই ওনার শান্তি নেই।কারণ ওনার শান্তি তো এখানে হওয়ার কথা নয়। ওনার শান্তি হওয়ার কথা তার পেয়ারে পাকিস্তানে।

ইংরেজী দৈনিক ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনামের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে চলমান আলোচনার সমালোচনা করে তিনি বলেন, তিনি অবশ্যই জ্ঞানী এবং প্রাজ্ঞ ব্যক্তি।ওনি ইচ্ছা করলেই যেকোন খবর ছাপার পরে তার দায় এড়াতে পারেন না। তিনি এত অজ্ঞ ব্যক্তি নন যে, যারা তাঁকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিফ্রকেসে তিন কোটি টাকা নেয়ার অসত্য তথ্য দিয়েছিল। এটা ওনি কেন সাধারণ মানুষও বোঝে ব্রিফকেসে তিনি কোটি টাকা নেয়া যায় না। কিন্তু সেই খবর পরিবেশন করার সময় তিনি কোন সূত্র যাচাই বা উল্লেখ করেননি।

‘এই খবর পরিবেশনের কারণে কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। তাকে জেলে যেতে হয়েছিল। এক্ষেত্রে মাহফুজ আনাম ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই খবরটি পরিবেশন করেছিলেন। তিনি শুধু কারও ছাপিয়ে দেয়া সংবাদ পরিবেশন করেই ক্ষান্ত হননি। ওনি তার বিরুদ্ধে বিষেদাগার করে অনেক সম্পাদকীয় লিখেছিলেন।সেই গুলোর ক্ষেত্রে তাহলে ওনি কি জবাব দেবেন? এক্ষেত্রে ওনি কি আবারও বলবেন, ডিজিএফআই বা কারও ছাপিয়ে দেয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করেই ওই সকল সম্পাদকীয় লিখিয়েছিলেন।এটা বলে তার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।



মন্তব্য চালু নেই