খালেদার গাড়িবহরে হামলার আসামি বিএনপির প্রার্থী

দলের চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে হামলার মামলায় এজাহারভুক্ত এক আসামিকে পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন দেয়ার অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। মনোনয়ন পাওয়া জাহাঙ্গীর কামাল ২০০১ সালে কাওড়াকান্দি ফেরিঘাটে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা মামলার ১৫ নম্বর আসামি।

এমনকি জাহাঙ্গীর কালাম মাদারীপুর বা শিবচর বিএনপির কোনো পদপদবিতেও নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতারা।

যদিও শিবচর পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নের বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি বিএনপি, তবে ইতিমধ্যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে জাহাঙ্গীর কামাল নামে একজন মনোনয়ন পেয়েছেন।

জেলা নেতাদের সমর্থনকে পাশ কাটিয়ে স্থানীয় বিএনপিতে পদ-পদবিহীন একজনকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিএনপির নেতারা। ইতিমধ্যে জাহাঙ্গীর কামালের বিরুদ্ধে কেন্দ্রে অভিযোগ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

মাদারীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক আবু মুন্সী বলেন, “আমরা তো একজনকে সমর্থন দিয়ে তালিকা পাঠিয়েছি। কিন্তু এখন জানতে পারছি জাহাঙ্গীর কামালকে কেন্দ্র মনোনয়ন দিয়েছে।”

দলের মনোনীত প্রার্থীর বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, “যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে শুনছি, সে তো চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে হামলার আসামি।”

এ ব্যাপারে জানতে বুধবার দুপুরে যোগাযোগ করলে জাহাঙ্গীর কামাল বলেন, “ভাই, মনোনয়নের কাগজপত্র নিয়ে আইনজীবীর সামনে বসে আছি। একটু ব্যস্ত। পরে আপনাকে ফোন দিয়ে কথা বলব।”
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার খুলনা সফরের পথে কাওড়াকান্দি ফেরিঘাটে হামলার শিকার হয় তার গাড়িবহর। ওই ঘটনায় স্থানীয় বিএনপির নেতা আবদুল মান্নান খান শিবচর থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে আসামির তালিকায় ১৫ নম্বরে জাহাঙ্গীর কামালের নাম।

স্থানীয় বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য জেলার মতো মাদারীপুর জেলা বিএনপির নেতারা বৈঠকের মাধ্যমে একমত হয়ে সমর্থন দেয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রে কিছু নাম সুপারিশ করেছিল। তবে তারা পৌর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন শফিককে সমর্থন দেন।

কিন্তু কেন্দ্র জাহাঙ্গীর কামালের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ায় মাদারীপুর জেলা ও শিবচর বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে শাহাদাত হোসেন শফিক বলেন, “যাকে মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে সে তো সারা বছর ঢাকায় থাকে। জাহাঙ্গীর কামাল প্রার্থী হবেন এটা তো কেউ ভাবেনি। তাহলে তো আমরা আগেই অভিযোগ দিতাম।”

বিএনপির চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে হামলার আসামিকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করে শাহাদাত হোসেন বলেন, “জেলার নেতারা আমাকে সমর্থন করেছেন, অথচ তাকে (জাহাঙ্গীর) কীভাবে প্রার্থী করা হয় বুঝলাম না।”

নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের প্রত্যয়নের দায়িত্বে আছেন যুগ্মমহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান। তার সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম বলেন, এ বিষয়ে না জেনে কোনো কথা বলা যাবে না; দেখে বলতে হবে।ঢাকাটাইমস



মন্তব্য চালু নেই