খালেদার খনি মামলায় রুল নিষ্পত্তি ৫ এপ্রিল

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা বড় পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার বিষয়ে জারি করা রুলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ এ মামলার রায় ঘোষণার কথা থাকলেও আসামিপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রুল নিষ্পত্তির রায় ঘোষণার তারিখ আগামী ৫ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়েছে।
দীর্ঘ প্রায় অর্ধযুগ পর হাইকোর্টের জারি করা রুলের নিষ্পত্তি করতে সম্প্রতি একটি আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার এ রুলের শুনানি করে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ৩ ও ৫ মার্চ এ মামলার শুনানি হয়। ৫ মার্চের শুনানির পর আদালত ১০ মার্চ মামলায় শুনানি ও রায়ের দিন ধার্য করলেও সর্বশেষ রোববার নির্ধারিত শুনানি শেষে রায়ের দিন পরিবর্তন করে ৫ এপ্রিল করেছেন আদালত।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভপাতি এ জে মোহাম্মাদ আলী ও ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডেভোকট খুরশিদ আলম খান।
১/১১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে।
শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। মামলায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতি হয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। এতে চারদলীয় জোট সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মরহুম আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, মরহুম অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তথ্যমন্ত্রী শামসুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
পরে এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া।
২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম তিন মাস স্থগিত করেন।
একই সঙ্গে মামলা দায়ের ও কার্যক্রম কেন অবৈধ ও বেআইনি হবে না জানতে চেয়ে সরকারকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়ে রুলও জারি করেন। পরবর্তী সময়ে মামলার স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এ মামলায় স্থায়ী জামিনে রয়েছেন খালেদা জিয়া।



মন্তব্য চালু নেই