খালেদাকে মোকাবেলায় নামছেন জয়

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারণায় বিএনপি সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চাওয়ার জন্য প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন।

বলাবলি হচ্ছে, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী প্রচারে নামলে রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামে ভোটের চিত্র পাল্টে যেতে পারে।

পাঁচ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ায় তাদের দলের রথি-মহারথিরা সবাই এখন নির্বাচনী প্রচারে নামতে পারছেন। দৃশ্যত এই সুবিধাই কাজে লাগতে চাইছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। পরিস্থিতি আগাম বুঝতে পেরে গতকাল ঢাকা মহানগর নেতা ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম খালেদাকে নির্বাচনী প্রচারে না নামার আহবান জানিয়ে বলেছেন, ওনি প্রচারে নামলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। তিনি এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে হস্তক্ষেপ করারও আহবান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা নির্বাচনী আচরণ বিধি অনুযায়ী দলের প্রার্থীদের জন্য প্রচারে নামতে পারছেন না। এ দিক থেকে বিএনপি এগিয়ে থাকায় চিন্তায় পড়ে গেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

সূত্র জানায়, এসব কারণে বিএনপির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সমতা আনতে প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে মাঠে নামানোর প্রাথমিক পরিকল্পনা করে রেখেছে দলটি।

যখন খালেদা জিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে মাঠে ভোট চাইতে নামবেন তখনই জয়কে মাঠে নামানো হবে বলে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের একটি সূত্র জানিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ উল আলম লেনিন বলেন, ‘সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি দেশে আসলে যেকোন সময় প্রচারণায় নামতে পারেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সাথে তুলনা করে জয়কে নামানো হবে না। তিনি নামলে দলের জন্যই নামবেন।’ গত ১৫ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায়ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

গণভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত এক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, ‘জয়কে মাঠে নামানোর বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে আওয়ামী লীগ।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকে না। কারণ আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না।

অন্যদিকে মন্ত্রী থাকায় দলের সিনিয়র নেতারাও নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারছেন না। তাই আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে নির্বাচনী প্রচারণায় নামানোর চিন্তা-ভাবনা চলছে।’



মন্তব্য চালু নেই