খালেদাকে চীনা নেতাদের ৩ প্রস্তাব

সফররত চীনের প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশের রাজনেতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা না থাকার ব্যাপার এবং নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি অবহিত করেছে বিএনপি। ওই সময় চীনা নেতারা সম্পর্ক উন্নয়নে বিএনপিকেও তিনটি প্রস্তাব দেয়।

চীন কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক শেষে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজার সামনে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে চীনের ওই প্রতিনিধির বৈঠক হয়। কমিউনিস্ট নেতা সেন শিয়াং প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

ড. মঈন খান বলেন, ‘আধুনিক চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক জিয়াউর রহমানের আমল থেকে শুরু হয়েছে, সেই ৪০ বছর আগে থেকে। তারই ধারাবাহিকতায় সেই সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। বিএনপির সঙ্গে কমিউনস্টি পার্টির সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় এলে এই সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে চীনের সহযোগিতায় যেসব প্রকল্প নেয়া হয়েছিল তার অধিকাংশের কাজ শেষ হয়েছে এবং এখনো সে কাজ চলছে।’

মঈন খান বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের আমালে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর উন্নয়নের চীন সহযোগিতা করেছিল। আগামীতে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হলে এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কও বৃদ্ধি পাবে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি এবং কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে চীনের নেতারা তিনটি প্রস্তাব দিয়েছেন। এতে দুই পক্ষ সম্মত হয়েছে। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১. দুই দলের নেতৃত্ব পর্যায়ে সফর বিনিময়, ২. কর্মীস্তরে প্রশিক্ষণ দেয়া এবং গবেষণা ও থিংক ট্যাংক তৈরি।’

‘দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিএনপির পক্ষ থেকে চীনা প্রতিনিধি দলকে বলা হয়েছে- বর্তমানে বাংলাদেশে একটি প্রতিনিধিত্বহীন সরকার চলছে। এ বিষয়টি তাদের অবহিত করে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক অস্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা জটিলতা প্রভৃতি বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’ বললেন বৈঠকে উপস্থিত থাকা বিএনপি এ জ্যেষ্ঠ নেতা।

এক ঘণ্টার এই বৈঠকে বিএনপি নেতাদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহাবুবুর রহমান, পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, ওসমান ফারুক, সাবিহ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নেত্রী শামা ওবায়েদ।



মন্তব্য চালু নেই