খাবার নিয়ন্ত্রণ বা ব্যায়াম দিয়ে স্থূলতা কমানো সম্ভব নয়

স্থূলকায় মানুষরা ওজন কমাতে দুটো পথ বেছে নেন। এক, কম কম খেতে হবে। আর দ্বিতীয়ত, ব্যায়াম করতে হবে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা তাদের আশাহত করে বলেছেন, এসব উপায়ে স্থূলতা যাবে না।

বহুদিন থেকে মোটা মানুষদের ওজন কমানোর উপায় হিসেবে খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যায়াম কার্যকর উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। কিন্তু এসব করতে গিয়ে আরো বিপদে পড়ছেন বলে অভিযোগ করছেন বহু মানুষ। আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষকরা জানান, মূলত স্থূলকায় মানুষদের ওজন নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে বড় বাধা তাদের শারীরতত্ত্ব। বিজ্ঞানীরা স্পষ্টভাবে জানান, খাবারের ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ করে কখনোই স্থূলতা যাবে না।

দেখা গেছে, অনেকেই কম খেয়ে এবং ব্যায়াম করে কয়েক মাসের প্রচেষ্টায় ওজন কমাতে সক্ষম হন। কিন্তু এদের ৮০-৯৫ শতাংশ আবারো আগের অবস্থায় ফিরে আসেন। এর কারণ, ক্যালরি কম গ্রহণের ফলে দেহের জৈবক্রিয়ায় পরিবর্তন ঘটে এবং এক সময় তা মানুষকে অসুস্থ করে দেয়। আবার আধুনিক খাদ্যাভ্যাসে যেভাবে ক্যালরি এবং সম্পৃক্ত ফ্যাট যুক্ত হয়েছে যে, স্থূল মানুষের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে পাওয়া প্রায় অসম্ভব।

প্রধান গবেষক নিউ ইয়র্কের আইকান স্কুল অব মেডিসিনের পেডিয়াট্রিকস অ্যান্ড সাইকিয়াট্রি বিভাগের প্রফেসর ক্রিস্টোফার ওকনের বলেন, এ ধরনের স্থূলতা স্থায়ী স্থূলতায় রূপ নিয়েছে। দেহের ওজন জৈবিকভাবেই স্থায়িত্ব পেয়েছে। তবে যে গুটিকয়েক মানুষ স্বাভাবিক দেহ পেয়েছেন তাদের দেহের জৈবিক বৈশিষ্ট্য অন্যদের থেকে ভিন্ন।

অন্য এক গবেষণায় স্থূলতার পেছনে জেনেটিক কারণ খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। জিনের ৯৭টি অংশ পাওয়া গেছে যা স্থূলকায় হতে কাজ করে। এই অংশে কাজ করে সমস্যা কাটানো যায় কিনা তা নিয়ে গবেষণা চলছে।

বর্তমানে সার্জারির মাধ্যমে ওজন কমানো হচ্ছে। তবে এর পর কেউ যদি আগের মতোই খাদ্যতালিকা মেনে চলেন, তবে ওজন বেড়ে যাবে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে



মন্তব্য চালু নেই