খাদ্য ও পানি সংকটে বিশ্বের ১০ কোটি মানুষ

এল নিনোর প্রভাবে তীব্র খরা ও বন্যার কারণে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল, এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার প্রায় ১০ কোটি মানুষ খাদ্য ও পানি সংকটে পড়েছে। একই সঙ্গে জিকা ভাইরাসসহ বিভিন্ন সংক্রামক ব্যাধিও ছড়িয়ে পড়ছে। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা ও বিভিন্ন দেশের সরকার এ তথ্য জানিয়েছে। বুধবার এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।

বায়ুমন্ডলীয় এবং গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের সমুদ্রগুলোর মাঝে পর্যাবৃত্ত পরিবর্তনকে বলা হয় এল নিনো । এটি হচ্ছে পর্যায়বৃত্তের উষ্ণ পর্যায় ।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান জানিয়েছে, জিম্বাবুয়ে, মোজাম্বিক, দক্ষিণ আফ্রিকা, জাম্বিয়া, মালাওয়ি ও সোয়াজিল্যান্ডের খরাপ্রবন গ্রামাঞ্চলের প্রায় চার কোটি এবং শহরাঞ্চলের প্রায় ৯০ লাখ মানুষের আগামী বছর খাদ্য সহায়তা দরকার হবে।

এ ছাড়া জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সমন্বয় কার্যালয় (ওচা) জানিয়েছে, ইথিওপিয়ায় এক কোটি মানুষ ও গুয়াতেমালা, হন্ডুরাসের ২৮ লাখ মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিতে হবে। সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, ২০১৫ সালের মাঝামাঝি থেকে এল নিনোর প্রভাবে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কয়েক কোটি লোক খরা, পানির অভাব ও দাবানলের মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। এ কারণে চলতি বছর বিশ্ব খাদ্য উৎপাদনে প্রভাব পড়তে পারে।

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের পরিচালক লিলা ঘারাগোজলু পাক্কালা বলেন, ‘আফ্রিকার পূর্ব ও দক্ষিণ অঞ্চলে প্রায় ১০ লাখ পুষ্টিহীন শিশুর চিকিৎসা প্রয়োজন। গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী এল নিনোর কারণে অনিয়মিত বৃষ্টিপাত ও খরায় শিশুদের জীবন হুমকির মুখে ফেলেছে।’

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষ্টি সংস্থা (এফএও) ও ফেমিন আরলি ওয়ার্নিং সিস্টেমস নেটওয়ার্ক যৌথ বিবৃতিতে বলছে, ‘২০১৬ সালে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে ফসল উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এল নিনো বিপর্যকর প্রভাব ফেলবে।’



মন্তব্য চালু নেই