খাটের নিচে মিলল দুই শিশুর বস্তাবন্দি লাশ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নামোশংকরবাটী ভবানীপুর এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়া দুই শিশু সুমাইয়া খাতুন (৭) ও মেহজাবিন আক্তারের (৬) লাশ পাওয়া গেছে।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিহত শিশুদের প্রতিবেশী ইয়াসিন আলীর ছেলে প্রবাসী মো. ইব্রাহীমের স্ত্রী লাকী আক্তারের (২৪) খাটের নিচ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশ দুটি স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে শিশুর মরদেহগুলো উদ্ধার করে।

এই ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে বাড়ির মালিক ভ্যান চালক ইয়াসিন আলী (৭৪), তার স্ত্রী তানজিলা খাতুন ও পুত্রবধূ লাকী আক্তাকে (২৪) আটক করে।

নিহত সুমাইয়া খাতুনের খালাতো ভাই আবু তালেব বলেন, নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই আমরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করছিলেন। মঙ্গলবার বিকাল থেকে সুমাইয়ার খালা ফাতেমা বেগম, নূরজাহান বেগম ও ফুফু শাহনাজকে নিয়ে আমরা কয়েকজন প্রতিবেশীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজা শুরু করি।

খোঁজাখুজির একপর্যায়ে আমরা প্রতিবেশী ভ্যানচালক মো. ইয়াসিনের বাড়িতে গেলে তাঁর ছেলের স্ত্রী লাকী আক্তার বাড়িতে তাদের প্রবেশ করতে বাঁধা দেয়। পরে জোর করে তারা ইয়াসিনের বাড়িতে ঢুকেন।

এরপর লাকীর শোবার ঘরে ঢুকতে চাইলে সে আবারও বাধা দেয়। ওই সময় সে (লাকী) বলেন,‘আপনারা খাটের নিচে দেখবেন না, খাঁটের নিচে বস্তাতে কুমড়া আছে’ এ সময় আবারো তিনি আমাদের বলেন ‘জোড়হাত করছি, খাটের নিচে দেখবেন না।’ তখনই আমাদের সন্দেহ হয়েছিল আর খাটের নিচে যখনই তাকায় দেখি দুই দিকে দুইটা বস্তা আছে। একটি বস্তার মুখ খুলতেই দেখি সুমাইয়ার মুখটা বের হয়ে যায় বলেই ডুকরে কেঁদে উঠেন সুমাইয়া খাতুনের খালাতো ভাই আবু তালেব।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) টি.এম মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়রা সন্ধ্যায় নামোশংকরবাটী এলাকার শিশু দুটির লাশের সন্ধান পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পৃথক বস্তা থেকে শিশু দুটির লাশ উদ্ধার করে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হত্যার কারণ ও কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তা জানা যায়নি।

গত রোববার পৌর এলাকার নামোশংকরবাটীর ভবানীপুর-ফতেপুর মহল্লার সুমাইয়া খাতুন ও মেহজাবিন আক্তার দুজনেই স্থানীয় ছোটমনি বিদ্যা নিকেতনের শিক্ষার্থী। তারা রোববার বেলা ১১টার দিকে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে বাইরে খেলতে যায়। এরপর থেকেই তারা নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় ওই দিনই মেহজাবিনের বাবা আব্দুল মালেক বাদি হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।



মন্তব্য চালু নেই