ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে থাড মোতায়েন করছে দ. কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার লক্ষ্যে হাই অ্যালটিচিউড এরিয়া ডিফেন্স (থাড) ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী সিস্টেম মোতায়েনে একমত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া।

সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট এইচওয়াং কিয়ো অন ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের এক বৈঠকে থাড মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এর আগে মার্কিন এই ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ধৈর্য্যের কৌশলগত যুগ পেরিয়ে গেছে।

সোমবার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পেইন্স বলেন, উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবেলায় থাড মোতায়েনসহ রক-মার্কিন জোটের প্রস্তুতি জোরদারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রোববার উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলে একটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালেও তা ব্যর্থ হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র’র লাগাম টেনে ধরার হুঁশিয়ারির মাঝেই ওই পরীক্ষা চালায় পিয়ং ইয়ং।

চলতি বছরের মার্চের শুরুর দিকে উত্তর কোরিয়া চতুর্থবারের মতো ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। এই পরীক্ষার পর দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তে থাড সিস্টেম মোতায়েন শুরু করে ওয়াশিংটন ও সিউল।

হামলার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ২০০ কিলোমিটার দূরে থাকা ওয়ারহেড প্রতিহত ও ধ্বংস করতে সক্ষম এই থাড সিস্টেম। এর আগে গুয়াম ও হাওয়াই দ্বীপে এই সিস্টেম মোতায়েন করা হয়েছিল।

এদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াং বলেন, চীন থাড ব্যবস্থা মোতায়েনের বিরোধিতা করছে। এছাড়া আমাদের নিজস্ব স্বার্থ রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে। একদিন আগেও এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একই ধরনের কথা বলেছিলেন।

দক্ষিণ চীন সাগরের জন্য থাড ব্যবস্থাকে হুমকি হিসেবে মনে করে সাগরের মালিকানা দাবি করা চীন। দেশটির দাবি, দক্ষিণ চীন সাগর তাদের ভূখণ্ডের অংশ।

সূত্র : দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।



মন্তব্য চালু নেই