ক্লাসে ‘পর্ন দেখিয়ে’ বরখাস্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে ‘অশ্লীল চিত্র’ প্রদর্শনের অভিযোগ এনে উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের একজন শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। শিক্ষক ড: মোহম্মদ রিয়াজুল হককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সিন্ডিকেট সভায়। ঘটনাটি খতিয়ে দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান জানিয়েছেন “সংশ্লিষ্ট বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখে মনে করেছে তিনি একটি কোর্স পরিচালনা করার সময় শিক্ষার্থীদের এমন কিছু জিনিস দেখিয়েছেন যেগুলো অত্যন্ত অশ্লীল। ”

“সেগুলোর সঙ্গে জেন্ডার ও ডেভেলপমেন্ট শীর্ষক ওই কোর্সের কোনও সম্পর্ক তো নেইই, বরং সেগুলো প্রায় পর্নোগ্রাফির পর্যায়ে পড়ে”, জানিয়েছেন মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটও প্রাথমিকভাবে একমত হয়েছে যে ড: মোহম্মদ রিয়াজুল হক ক্লাসে যে সব হ্যান্ড-আউট, কপি বা পোর্ট্রেট দেখিয়েছেন সেগুলো অত্যন্ত অশ্লীল। তার ভিত্তিতেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে আপাতত বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিযুক্ত তদন্ত কমিটিতে তার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে, এ ব্যাপারে তার বক্তব্যও শোনা হবে।

উপ-উপাচার্য মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান আরও জানিয়েছেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিভাগীয় চেয়ারপার্সন ও সহকর্মীরাও তাকে অনেকদিন ধরেই বলে আসছিলেন ক্লাসে যেন তিনি ওই ধরনের আপত্তিকর জিনিসপত্র না দেখান। “কিন্তু মৌখিকভাবে সতর্ক করার পরও তিনি সে কথায় কর্ণপাত করেননি, তাকে সহকর্মীরা সংশোধন করে নিতে বললেও তিনি সে কথা গায়ে মাখেননি”, জানিয়েছেন উপ-উপাচার্য।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে যে ড: মোহম্মদ রিয়াজুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগটা প্রথম এসেছিল তার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই। কোর্স পরিচালনা করার সময় তিনি ক্লাসে যে ধরনের ‘কনটেন্ট’ দেখাতেন তা তার ছাত্রছাত্রীরাই ভালভাবে নেয়নি।

ওই শিক্ষক নিজের ফেসবুক পেজে নানা আপত্তিকর উদ্ধৃতি দিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সে ব্যাপারে অভিব্যক্তি চাইতেন বলেও প্রাথমিক তদন্তে অ্যাকাডেমিক কমিটি দেখতে পেয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই