ক্রিকেট খেলা নিয়ে রণক্ষেত্র, আহত ১৫

ভোলা: লালমোহন ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে পুরো এলাকা। কুপিয়ে জখম করা হয়েছে অন্তত ১৫ জনকে। ভাঙচুর করা হয়েছে ৫টি ঘরবাড়ি।

শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে সন্ধ্যা অবধি কলমা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চরছকিনা গ্রামে সংঘর্ষ চলে।

যুবলীগ নেতা সিরাজ হায়দারের গ্রুপ ও মুড়ি ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন হাওলাদারের পরিবারের মধ্যে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনার পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

সিরাজ হায়দার জানান, তার ভাতিজা সজিবের সাথে শাহাবুদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মিজানের ক্রিকেট খেলা নিয়ে সংর্ঘষ হয়। পরে তারা সজিবকে ধরে নিয়ে মারপিট করে তাদের ঘরে চৌকির নিচে লুকিয়ে রাখে। এ ঘটনা জানাতে জুমার নামাজের পর সিরাজ হায়দারের ভাই রতন, বিল্লাল, কামাল ওই বাড়িতে গেলে তাদের অতর্কিত কুপিয়ে জখম করা হয়। এ খবর পেয়ে হায়দার, তার স্ত্রী অনু, ভাতিজা হাসান, আল-আমিন, ভাইয়ের স্ত্রী পারভিনসহ বিকেলে ওই বাড়িতে গেলে তাদেরও কুপিয়ে জখম করা হয়।

অপরদিকে, শাহাবুদ্দিন হাওলাদারের পুএবধূ রুমা জানান, তিনি দুপুরে পুকুর পাড়ে গোসল করতে গেলে সিরাজ হায়দারের ভাতিজাসহ কয়েকজন অশ্লীল মন্তব্য করে। এ ঘটনা তার স্বামী মিজানকে জানালে মিজান সিরাজ হায়দারের বাড়িতে গিয়ে প্রতিবাদ করলে সেখানে কথাকাটাকাটি হয়। পরে সিরাজ হায়দারের লোকজন মিজানের বাবা শাহাবুদ্দিন হাওলাদারের বাড়িতে এসে হামলা চালালে দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ হয়। এতে শাহাবুদ্দিন হাওলাদার, স্ত্রী জোসনা, জামাতা মতিন, ছেলে সোহেল, মিজান ও জিহাদসহ দুই গ্রুপের অন্তত ১৫ জন মারাত্মক জখম হয। আহতদের নিয়ে লালমোহন হাসপাতাল ও বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

সন্ধ্যার আগে আবারো শাহাবুদ্দিন হাওলাদারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে শাহাবুদ্দিনের ঘর, ভাতিজা কবিরের ঘর ও হনুফার ঘর, তাজল ইসলামের ঘর, তোফায়েলের ঘরসহ ৫টি ঘরে এলোপাতাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এ ঘটনার পর এলাকায় থমথমে অবন্থা বিরাজ করছে।

লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতারুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই