ক্রিকেটার তৈরীর প্রকল্প শুরু করছে বিসিবি

স্কুল ক্রিকেট অংশ নিয়ে এক সময় উঠে এসে বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠ মাতিয়েছেন অনেক তারকা ক্রিকেটার। নির্মান স্কুল ক্রিকেট দিয়ে শুধু দেশের অঙ্গনই নয়, বিশ্ব ক্রিকেটের অঙ্গন আলোকিত করেছিলেন অনেকে। সেই নির্মাণ স্কুল ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর স্কুল পর্যায় থেকে ক্রিকেটার উঠে আসার পথটাই যেন থমকে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে ক্লাব এবং জাতীয় দলে ক্রিকেটার উঠে আসার প্রধান এবং বলতে গেলে একমাত্র পাইপ লাইন হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)।

তবে আবার স্কুল ক্রিকেটের সেই পুরনো সুদিন ফিরিয়ে আনার ওপর জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বৃহস্পতিবার প্রাইম ব্যাংকের সঙ্গে এ ব্যাপারে ৬ বছর মেয়াদি একটি চুক্তিও করে ফেলেছে তারা। সামনের বছরগুলোতে স্কুল ক্রিকেট আয়োজনের জন্য ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা দেবে এ ব্যাংকটি। ফলে, সারা দেশের স্কুল পর্যায় থেকে লুকিয়ে থাকা ক্রিকেট প্রতিভা উঠে আসার পথ আবারও সুগম করে দিল বিসিবি।

বলা যায়, আবারও শুরু হতে যাচ্ছে প্রতিভাবান ক্রিকেটার অন্বেষণের কর্মযজ্ঞ। আগামী বছর জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হবে ‘প্রাইম ব্যাংক ইয়াং টাইগার্স ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’। যার মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসবে ভবিষ্যতের সুজন, মুশফিক কিংবা সৌম্যরা।

বৃহস্পতিবার উন্মোচিত হল ‘প্রাইম ব্যাংক ইয়াং টাইগার্স ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’ এর লোগো। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ও বিসিবির পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন, বিসিবির বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান এবং প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেটের প্রতিনিধি তানজিল চৌধুরি ও বোর্ডের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

আগেরমতো রমরমা অবস্থ না থাকলেও প্রতি বছরই স্কুল টুর্নামেন্ট আয়োজন করে আসছে বিসিবি। তবে প্রাইম ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় স্কুল ক্রিকেট প্রসঙ্গে নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘ছয় বছরের আওতায় স্কুল টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময়ে সকল ধরনের আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে প্রাইম ব্যাংক। মাঠের স্কোরবোর্ড থেকে শুরু করে যে কোনো সুবিধা দিতে তারা বিসিবির সঙ্গে যুক্ত থাকবে।’

প্রাইম ব্যাংকের ছয় বছরের চুক্তির মধ্যে প্রথম দুই বছরের জন্য বাজেট ১ কোটি টাকা। পরের বছর গুলোতে এ অর্থ পর্যায়ক্রমে আরো বাড়বে বলে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া টুর্নামেন্টে অংশ নেবে ৫৪০টি স্কুল। যেখানে খেলবেন প্রায় সাড়ে সাত হাজার ক্ষুদে ক্রিকেটার। দেশের ৭০টি ভেনুতে ৫০ ওভারের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে বলে লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

প্রাথমিকভাবে জেলা পর্যায়ের স্কুলগুলো এ টুর্নামেন্টে অংশ গ্রহণ করবে। সেখানে চ্যাম্পিয়ন স্কুলগুলো পরবর্তীতে লড়বে বিভাগীয় পর্যায়ে। এরপর সেরারা খেলতে আসবে জাতীয় পর্যায়ের আসরে। আর এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই বের হয়ে আসবে বাংলা দেশের ক্রিকেটের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।



মন্তব্য চালু নেই