ক্রসফায়ারের শঙ্কায় বিএনপি

ক্ষমতাসীনদের দু’একজনের পরই বিরোধীদের ক্রসফায়ারে দেয়া শুরু হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ শঙ্কার কথা জানান।

রিপন বলেন, সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ক্রসফায়ারে ছাত্রলীগের দুই নেতা নিহত হওয়ার পর ছাত্রলীগ বলছে এটা মেনে নেয়া যায় না। অন্যদিকে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অ্যাকশন শুরু। এরমাধ্যমে প্রমাণ হয় সরকার ক্রসফায়ার করছে। তাদের নির্দেশে এসব হচ্ছে।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় সরকার ক্রসফায়ার দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। কিন্তু এটা সম্ভব নয়।

বিচার বাহির্ভূত হত্যাকাণ্ড মেনে নেয়া যায় না এমনটা জানিয়ে রিপন আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এখন আওয়ামী লীগের কয়েকজনকে ক্রসফায়ার দেয়া হচ্ছে, পরে বিএনপি নেতাকর্মীদেরও দেয়া হতে পারে।

বুধবার গাজীপুরের বিএনপি সমর্থিত মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নানকে সাময়িক বরখাস্ত করার সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার বিরোধী সমর্থিত জনপ্রতিনিধিদের বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার কথা বলে প্রকারান্তরে তা ধ্বংস করছে।

সরকারের জনসমর্থন নেই এবং তারা জনরায়ে ভয় পায় এমন মন্তব্য করে রিপন বলেন, জনপ্রতিনিধিদের বরখাস্ত করে সরকার জনগণের রায়কে অশ্রদ্ধা করছে।

সারাদেশে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপি সমর্থিত ৫৩৮জন জনপ্রতিনিধিকে বরখাস্ত করা হয়েছে এমন দাবি করে তিনি বলেন, এসব জায়গায় বিএনপি সমর্থিতদের সরিয়ে সরকার দলীয়দের বসানো হচ্ছে।

তিনি অবিলম্বে বরখাস্ত হওয়া জনপ্রতিনিধিদের স্বপদে ফিরিয়ে আনা এবং যে আইনে তাদের বরখাস্ত করা হচ্ছে তা বাতিলের দাবি জানান।

বিচারের বাণী এখন আর নিভৃতে নয়, প্রকাশ্যে কাঁদে এমন মন্তব্য করে রিপন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদসহ অন্যসব নেতার মুক্তি দাবি করেন।



মন্তব্য চালু নেই