কোহলি-রোহিতে অনায়াস জয় ভারতের

যে উদ্দেশ্য নিয়ে বিশ্বকাপের ১১তম আসরে গেছে ভারত, সেই উদ্দেশ্য সাধনে তারা রয়েছে সফলতার পথেই। পার্থে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে জয় নিয়ে সংশয় খুব একটা ছিল না। আর সেটা হয়ে গেছে খুব অনায়াসেই।

চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে শনিবার আমিরাতকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। ১৮৭ বল হাতে রেখে মাত্র ১ উইকেট খুইয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।

টসে হেরে প্রথমে ফিল্ডিংয়ে নামে ভারত। শুরুতেই বোলিং-ফিল্ডিং বিভাগে বেশ দাপট দেখিয়েছে ভারত। এদিন নিজের জাত চিনিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ১০ ওভার বল করে ২৫ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ-সেরার পুরস্কারও জিতেছেন তিনি।

উমেশ যাদব ও রবীন্দ্র জাজেদা সমান ২টি করে উইকেট নেন। উইকেট দখলের মিছিলে খালি হাতে ফেরেননি মোহিত শর্মা ও ভুবনেশ্বর কুমারও। এই দুই পেসারের ভান্ডারে জমা পড়ে ১টি করে উইকেট।

আমিরাতের বিপক্ষে ভারতীয় বোলাররা পাঁচে পাঁচ! অর্থাৎ পাঁচজন বোলার বল করে প্রত্যেকেই ঝুলিতে পুরেছেন উইকেট। অশ্বিন-জাদেজা-যাদবদের বোলিং তা-বে শেষ পর্যন্ত ৩১.৩ ওভারে আমিরাতের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১০২ রানে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে হয়ে দুই অঙ্কের কোঠায় পৌঁছাতে পেরেছেন মাত্র তিন ব্যাটসম্যান। সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন সায়মান আনোয়ার। খুররম খান ও মানজুলা গুরুগির ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ১৪ ও ১০ রান। বাকি ব্যাটসম্যানরা সীমাবদ্ধ ছিলেন ১ অঙ্কের ঘরে।

সহজ লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে সুযোগটা হারালেন শেখর ধাওয়ান। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ভারতীয় এই ওপেনার দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকালেও আমিরাতের বিপক্ষে করতে পেরেছেন মাত্র ১৪ রান। কিন্তু রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির অপরাজিত ৭৫ রানের জুটিতে ভারত জিতে গেছে অনায়াসেই।

ভারতের ‘পোস্টার বয়’ কোহলি করেন ৩৩ রান। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চারের মার। আর রোহিতের ব্যাট থেকে আসে ৫৭ রান। ৫৫ বল খেলে ১০ টি চার ও ১ টি ছক্কার সাহায্যে ম্যাচজয়ী ইনিংসটি খেলেন ভারতের এই ওপেনার।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে একমাত্র উইকেটটি পকেটে পুরেছেন মোহাম্মদ নাভিদ। ৫ ওভার বল করে তিনি খরচ করেছেন ৩৫ রান।



মন্তব্য চালু নেই