কোলন ক্যান্সারে মৃত্যুর পাঁচ ব্যতিক্রমী কারণ

কোলন ক্যান্সার অত্যন্ত বিপজ্জনক ক্যান্সার। এ রোগে প্রতি বছর প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়। যুক্তরাষ্ট্রে এটি দ্বিতীয় বিপজ্জনক ক্যান্সার, যার আক্রমণে প্রতি বছর বহু নারী-পুরুষের মৃত্যু হয়। এ লেখায় থাকছে এ ক্যান্সারে মৃত্যুর কয়েকটি কারণ, যা জানা থাকলে এতে মৃত্যুর সম্ভাবনা কমতে পারত। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ।
১. কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ অবজ্ঞা
বহু মানুষই কোলন ক্যান্সারের লক্ষণগুলো দেখতে পেলেও তা অবজ্ঞা করে। এর মধ্যে অন্যতম হলো মলের সঙ্গে রক্ত নির্গত হওয়া, অস্বাভাবিক ব্যথা, ডায়রিয়া ও হজমের নানা সমস্যা। এছাড়া রয়েছে হঠাৎ করে ওজন কমা, দুর্বলতা, মলত্যাগের চাপ কিন্তু মলত্যাগ করার পরেও চাপ না কমা ইত্যাদি। এসব সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে চিকিৎসকের সহায়তা নিয়ে তা পরীক্ষা করা জরুরি। আর এক্ষেত্রে দেরি করে ফেললে তা মৃত্যুর কারণ হয়।
২. চিকিৎসকের অমনোযোগীতা
অনেক চিকিৎসকই কোলন ক্যান্সারের লক্ষণগুলো দেখেও তা মনোযোগের সঙ্গে বিবেচনা করেন না। এক্ষেত্রে চিকিৎসক একটু সতর্ক হয়ে যদি লক্ষণগুলো মিলিয়ে দেখেন তাহলে তা সময়মতো রোগ নির্ণয়ে সহায়তা করবে।
৩. কিছু জনগোষ্ঠীর বাড়তি মৃত্যুহার
কোলন ক্যান্সার ধনীদের হলেও তা দ্রুত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় মৃত্যুহার কমানো সম্ভব। কিন্তু গরীব ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মানুষদের মাঝে এ রোগটি নির্ণয় ও সুচিকিৎসার ঘাটতি আছে। এতে তাদের মাঝে এ রোগে মৃত্যুহার বেশি হতে দেখা যায়।
৪. লাল মাংসের প্রভাব
স্তন্যপায়ী প্রাণীদের থেকে পাওয়া লাল মাংস খাওয়ার অভ্যাস যাদের বেশি তাদের মাঝে এ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখা যায়। আর ২০০৫ সালে ইউরোপের এক গবেষণায় জানা যায় লাল মাংস খাওয়ার অভ্যাস যাদের রয়েছে তাদের এ ঝুঁকি ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত বেশি হতে পারে। এ ঝুঁকি এড়াতে স্তন্যপায়ী প্রাণী যেমন গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি প্রাণীর মাংস বর্জন করতে হবে।
৫. পেটের প্রদাহ ও টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীদের বাড়তি ঝুঁকি
যেসব রোগী আগে থেকেই পেটের প্রদাহজনিত সমস্যায় ভুগছেন কিংবা টাইপ টু ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের কোলন ক্যান্সারের বাড়তি ঝুঁকি রয়েছে। তাই এ ধরনের রোগীদের বাড়তি সতর্ক থাকা উচিত। বিশেষ করে ক্যান্সারের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত সেজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা উচিত।



মন্তব্য চালু নেই