কোন পথে রাজনীতি?

গেল ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা আন্দোলনের ব্যর্থতা আর ২৮ এপ্রিল তিন সিটির বিতর্কিত নির্বাচনের পর দেশের রাজনীতির দৃশ্যপট অনেকটাই পাল্টে গেছে। বলা যায়, বিরোধী জোটের আন্দোলন-সংগ্রাম অনেকটাই থমকে গেছে। বিরোধী জোট গেল কয়েক মাসে হরতাল-ধর্মঘটের মতো কোনো আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়নি। এছাড়া দেশে বর্তমানে বড় ধরনের জুটঝামেলাও নেই। এতে সরকার ও সরকারের দলের লোকজন মহাখুশি। তাদের বক্তব্য-বিবৃতি মতে বাংলাদেশের রাজনীতি এখন পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে, ইচ্ছা করলেই কেউ তাদের ক্ষমতা হঠাতে পারবে না। যতদিন খুশি তারা ক্ষমতায় থাকবে। অন্যদিকে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনীতি শক্তি হামলা-মামলা আর সরকারের নানা কৌশলে ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে বলে এমনটিই ধরে নিয়েছে সরকার পক্ষ।আসলে ব্যাপারটি কি এমন, না অন্য কিছু।

এক. সরকার ও সরকার পক্ষের লোকজন যাই বলুক না কেন। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে । এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ রয়েছে পশ্চিমাগোষ্ঠী ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের। গেল বুধবার মার্কিন রিপাবলিকান দলের কংগ্রেসওমেন তুলসি গাব্বার্ড কংগ্রেসে উত্থাপিত এক প্রস্তাবে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

কংগ্রেসে উত্থাপিত এক প্রস্তাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ গোলযোগের মধ্যে রয়েছে। গত বছর ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের পর থেকেই এ দেশের স্থিতিশীলতা নিয়ে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উদ্বেগ।
এ প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি মানবাধিকার রক্ষায় তৎপরতা বৃদ্ধি, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়াও, বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতা ও সহিংসতার ঘটনায় জাতিসংঘ, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রসমূহ এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ (এইচআরডব্লিউ) বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে।কিন্তু কোনো মতেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।

সম্প্রতি ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিষয়ক উপ-কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিশ্চিয়ান দান প্রেদা নিজের লেখা এক নিবন্ধে বাংলাদেশের চলমান সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেনা হস্তক্ষেপ অথবা গৃহযুদ্ধের আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন।

“ঢাকায় ৭২ ঘণ্টা” শীর্ষক ওই নিবন্ধে ক্রিশ্চিয়ান প্রেদা-বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে উল্লেখ করেন- একদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট নতুন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট ২০১৪ সালের নির্বাচনকে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা দাবি করে তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ব্যস্ত রয়েছে। এ দুই দলের আধিপত্যের রাজনীতির কারণে দেশটিতে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। এতে নাগরিক ও সামাজিক অধিকার আরও উদ্বিগ্ন অবস্থায় পতিত হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশটি সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ ও গৃহযুদ্ধের ঝুঁকিতে রয়েছে।

ওই লেখায় প্রেদা আরও বলেন, দেশটিতে এখন বিরোধীদের সন্ত্রাসী হিসেবে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। প্রেদা উল্লেখ করেন, বিএনপি ও তাদের জোট দলগুলো হাসিনার সরকারকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন অবৈধ হিসেবে ঘোষণা করে নতুন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা ২৩২ আসনে জয়লাভ করে এবং এর মধ্যে ১৫৪টিতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই জয় পায় ক্ষমতাসীন জোট।

আন্তর্জাতিক মহলের এসব বিশ্লেষণ থেকে বাংলাদেশ কি দীর্ঘমেয়াদি গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে নাকি সামরিক শাসনে আবার ফিরে যাচ্ছে, নাকি অংগ্রহণমূলক গণতন্ত্রে ফেরার আন্দোলন জোরালো হচ্ছে- এরকম আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এখন সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।

দুই. মূলত: বাংলাদেশে বড় ধরনের রাজনৈতিক সংকট চলছে। বিএনপি নতুন নির্বাচন চায়। আওয়ামী লীগ বলছে তারা ক্ষমতার ম্যান্ডেট নিয়ে এসেছে। বিএনপির অভিযোগ আওয়ামী লীগ বৈধ উপায়ে ক্ষমতায় আসেনি। ২০১৪ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ২৩২ আসনে জয়ী হয়েছে। তবে এর ১৫৪টি আসনে এমপিরা জয়ী হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। এসব আসনে আওয়ামী লীগ একজন করে প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়। এমন ঘটনা রোমানিয়ায় ঘটেছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর। সেখানে আইন করে একজন করে প্রার্থী মনোনয়ের কথা বলা হয়েছিল। বাংলাদেশে সেই ব্যবস্থা ফিরে আসায় রাজনৈতিক সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে।

তিন. প্রকৃতপক্ষে শুধু দুপক্ষেই রাজনৈতিক মেরুকরণ নয়, রাজনৈতিক বিরোধের এই রেশ ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। আইনজীবি, সাংবাদিক ও চিকিৎসকসহ বিভিন্ন স্তরের সংগঠনের মতো পেশাজীবীরাও আজ দুই ভাগে বিভক্ত।এতে রাষ্ট্র-সমাজের সর্বত্রই এখন এক ধরনের হিংসা-প্রতিহিংসা বিরজমান। এমন পরিস্থিতিতে কী ঘটতে পারে?

চার. আমরা জানি সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য বিরোধী দল অপরিহার্য।এখানে বিরোধী দল যত বেশী শক্তিশালী হয় সরকার তত কার্যকর ও সুশাসন নিশ্চিত করতে পারে।কিন্তু আমাদের দেশে বিরোধী দলসহ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ একেবারেই ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। ক’দিন আগে তলবিবাহক জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় জাতীয় পার্টির এক নেতার ‘বিশেষ বক্তব্য’ শোনার পর থেকে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তাহলে দেশে গণতন্ত্রের নামে কি হচ্ছে? আসলে দেশের অবস্থান কোন দিকে গড়াচ্ছে? জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের পদ থেকে অবহ্যাতি চেয়ে তারই দল জাতীয় পার্টি সত্যিকারের বিরোধী দল কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। ফিরোজ রশিদ বলেন, মাননীয় স্পিকার আমরা কি সত্যিকারের বিরোধী দল? মানুষ আমাদের কাছে এ প্রশ্ন করে।

পাঁচ. দু’মেরুতে অবস্থানে থাকা ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনার নেত্বাধীন সরকার খালেদা জিয়ার নেত্বাধীন বিরোধী জোটকে গায়েল করতে বিভিন্ন সময়ে নানা কৌশল অবলম্বন করে আসছে।এরমধ্যে হামলা-মামলা ও গ্রেফতারের কৌশল লক্ষনীয়। তবে বলা যায়- গেল সাড়ে ছয় বছরে রাজনৈতিক এ কৌশল প্রয়োগের দিক থেকে বরাবরই হাসিনা সরকার অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থানে ছিলো। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার যে বেশ অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়েছে এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। অন্যদিকে চলছে বিরোধীদের অপহরণ, গুম ও বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ড। এরপরও চলমান এই সহিংসতার শেষ কোথায় তা কেউ জানে না।

বর্তমানে দৃশ্যত রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত বলে মনে হলেও ভেতরে ভেতরে চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেশে আইনের শাসন ভেঙে পড়েছে, বিচার ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন অকার্যকর, বাকস্বাধীনতা সংকোচিত ও গণমাধ্যম শৃংখলিত। বিরোধী জোটের সংলাপ ও নির্বাচনের দাবিকে সরকার উপেক্ষা করে আসছে। ফলে বলা যায়- রাজনীতিবিদদের একগুয়েমিতে দেশ আজ গভীর সংকটের নিমজ্জিত। সংকটের গভীরতা বিবেচনায় ‘পরিস্থিতি এমন যে, বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্র হওয়ার পথে চলছে।’ আবার কেউ কেউ গৃহযুদ্ধের আশঙ্কাও ব্যক্ত করেছেন। আর গৃহযুদ্ধ রাজনৈতিক সংকটের মধ্যদিয়েই আসে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরাও একই ধরনের আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছেন।

এমন পরিস্থিতিতে তৃতীয় শক্তির উত্থানের আশঙ্কাও প্রকাশ করছেন অনেকে । রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও এ আশঙ্কাকে একবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। বিশ্লেষকদের মতে, যেখানে গণতান্ত্রিক চর্চা রুদ্ধ হয়ে পড়ে, সেখানে এ ধরনের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বিরাজমান থাকে। কেননা, অতীতেও এমন পরিস্থিতিতে জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থেই দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে এগিয়ে আসতে দেখা গেছে।

ছয়. দিন দিন সব কিছু অবনতির দিকে যাচ্ছে। এটি কারো জন্য শুভ নয়। অচিরেই রাজনৈতিক নেতারা সংকট নিরসন এবং এবিষয়ে একটা সমঝোতায় পৌঁছতে না পারলে চলমান অনভিপ্রেত পরিস্থিতির কারণে দেশে তৃতীয় শক্তি আসতে পারে!এমন আশংকা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। যেহেতু এর পেছনে বেশ কিছু কারণও রয়েছে বলে মনে করছেন দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সুশীলসমাজের সদস্যরা। বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দেশের রাজনীতিতে অঘটনের পেছনে যে সব কারণকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চিহ্নিত করে আসছেন সেগুলোর মধ্যে- প্রথমত: ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক, দ্বিতীয়তঃ দেশে গণতান্ত্রিক চর্চার অভাব, তৃতীয়তঃ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত না হওয়া, চতুর্থঃ দুর্নীতির ফলে একশ্রেণী লোকের হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া, পঞ্চমতঃ ইসলামী ও স্যেকুলার শক্তির প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব বিদ্যমান এবং গণতন্ত্রের ছদ্মাবরণে বিশেষ একটি জোটের একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা।

সম্প্রতি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) দেশের চলমান রাজনীতি, ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ৫ জানুয়ারি নির্বাচন প্রসঙ্গ, বাংলাদেশে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা, সরকারের একতরফা নীতি, ব্যাংক-বীমার নানা সংকট, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এমন আশংকার কথাও ব্যক্ত করেছেন।

এসব আশংকা বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তা একেবারে অমূলক ভেবে অবহেলা করলে চলবে না। কারণ আমরা যদি একটু পেছনে ফিরে যাই তবে দেখতে পাবো- বিগত ওয়ান ইলিভেনের কয়েক মাস আগে বিদেশীদের উদ্বেগের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন পত্রিকায় এ ধরনের আশঙ্কা ব্যক্ত করে প্রতিবেদন কিংবা সম্পাদকীয় প্রকাশ করা হয়েছিল। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও শহীদ জিয়াউর রহমানের সরকারের পতনের আগে এ ধরনের ভিনদেশী গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক রিপোর্ট আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হয় এবং তা নিয়ে দেশে গুঞ্জনও চলছিল বেশ কিছুদিন। এ ছাড়া বেশ কয়েকবার ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনাও ঘটে। পরে সেটি সত্যে পরিণত হয়।

এমন কী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া সরকারের বিগত সময়ে কয়েক দফা সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। আর সেটা উপেক্ষা করা সম্ভব হয়েছিল সতর্কতার সঙ্গে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার ফলে।

অতীতের এসব ঘটনা থেকে বলা যায়, বাংলাদেশে দৃশ্যত: সেনা অভ্যুত্থানের মতো ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা না থাকলেও, যে কোনো সময় এ ধরনের কোনো অঘটন যে ঘটবে না, এটা নিশ্চিত করে বলা যায় না।

সার্বিক দিক বিবেচনায় তৃতীয় শক্তি দেশের জন্য ক্ষতি হলেও রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতায় রাজনৈতিক সংকটের কারণে সহিংস পরিস্থিতিতেই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে তৃতীয় শক্তি ক্ষমতা গ্রহণ করার অনেক নজীর রয়েছে। আর তৃতীয় শক্তির উদ্ভবের পেছনে বিদেশীদের এক ধরনের হস্তক্ষেপ বরাবরই ছিল ।আমরা যদি সাম্প্রতিককালে থাইল্যান্ড, মিশরের দিকে লক্ষ্য করি তবে এমনটিই দেখতে পাই।

আর তৃতীয় শক্তির রাজনীতিতে কোনো ধরনের অঘটন ঘটলে হাসিনা-খালেদা কারো জন্য যে শুভকর হবে না তা বাস্তব। বরং তাদের ভুলের খেসারত গোটা জাতিকে দিতে হবে। ফলে আমাদের রাজনীতিবিদদের প্রতি আহবান রাখবো, অবিলম্বে জনগণের আকাংখা এবং দেশের সুশীলসমাজ-বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন মহলের সংলাপের আহবানকে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। অন্যথা কোনো ধরনের অঘটন ঘটলে কোনো পক্ষেরই যে লাভ হবে না, তা আমরা অতীত থেকেই শিক্ষা নিতে পারি। সর্বোপরি, দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে শত রাজনৈতিক মতবিরোধের মধ্যেও কিছু মৌলিক প্রশ্নে সব পক্ষকে একমত হতে হবে। তবেই জাতির বৃহত্তর স্বার্থ সংরক্ষিত হবে।

লেখক: শিক্ষা ও সমাজ বিষয়ক গবেষক এবং কলামলেখক, ই-মেইল- [email protected]



মন্তব্য চালু নেই